প্রধান উপদেষ্টা: সেনা-পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে, সেই সমাজ চাই না

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ দিয়ে উৎসব পালন করতে হবে। আমরা এমন বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, যেখানে সব সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই, যে বাংলাদেশে সব নাগরিকের সবারই সমান অধিকার থাকবে। শুধু কিতাবে লিখে দিলাম সমান অধিকার, তারপর মারামারি-কাটাকাটি করলাম, এরকম বাংলাদেশ আমরা চাই না।

ড. ইউনূস বলেন, এরকম সমাজ চায় না বলেই ছাত্র-জনতা তাদের জীবন দিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করার স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না।

দুর্গাপূজায় ছুটি বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার দুর্গাপূজার আনন্দ বিশেষ আনন্দে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে যেটা সবাই উপভোগ করছে। এজন্য সরকার এবং সরকারের বাইরে সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, সেনাবাহিনীকে দিয়ে, পুলিশ দিয়ে, র‌্যাব দিয়ে আমাদের আনন্দ-উৎসবরে আয়োজন করতে হয়, সেটি আমাদের ব্যর্থতা। আমরা সমাজটাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারিনি, যেখানে সবাইকে নিয়ে আনন্দ উৎসব করব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই যে আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে আপনাদের পূজা উৎসবের সুযোগ করে দিলাম, এটা যেন ভবিষ্যতে আর করতে না হয়, সেজন্য আমরা একযোগে কাজ করব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। তাছাড়া যে অধিকার কেড়ে নেবে, তাকে যেন সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি দেওয়া যায়, এটিই সবার স্বপ্ন।