ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল নিকারাগুয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়া। দেশটির অভিযোগ করেছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল সরকার ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’ আচরণ করছে।

ইসরায়েল ও নিকারাগুয়ার পতাকা

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার কারণে নিকারাগুয়ার সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা এখন শুধু ফিলিস্তিনের গাজায় নয়, লেবাননেও ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে তাদের এ আগ্রাসন ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরানে ছড়িয়ে পড়ারও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

গাজা যুদ্ধের এক বছর পূর্তিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নিকারাগুয়ার পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়, যাতে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার প্রশাসনকে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়েছে। এ সময় দেশটি নেতানিয়াহু সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী’ হিসেবে আখ্যা দেয়।

নিকারাগুয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, শুক্রবার নিকারাগুয়ার কংগ্রেসে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়। রোজারিও মুরিলো প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার স্ত্রী।

উল্লেখ্য, নিকারাগুয়ার রাজধানী মানাগুয়ায় ইসরায়েলের কোনো রাষ্ট্রদূত নেই।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দেশটি। এতে ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ নাগরিক নিহত হয়। তবে অভূতপূর্ব এই হামলায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাদের চোখ এড়িয়ে কিভাবে হামাস এ হামলা চালাল, তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

সেই সমালোচনা এড়াতে গাজায় নির্বিচার হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এক বছরের বেশি সময় ধরে চালানো সে হামলায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এক মাস ধরে সে হামলা সম্প্রসারিত হয়েছে লেবাননেও। সেখানেও দুই হাজারের বেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের এ ধরনের হামলায় বিশে^র অনেক দেশ নিন্দা জানালেও তা উপেক্ষা করেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। আর তাকে সর্বোতভাবে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য মিত্ররা।