এলএনজি আমদানি শুরু, গ্যাস সরবরাহ বাড়বে

তিন মাসেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার থেকে ত্রুটিপূর্ণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু করায় এই সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে বলে পেট্রোবাংলার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

ছবি - সংগৃহীত

তিনি বলেন, `গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড বৃহস্পতিবার তাদের স্পট এলএনজি কার্গো সরবরাহ শুরু করেছে এবং এরপরই এলএনজি পুনঃগ্যাসীকরণ শুরু হয়েছে।'

বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১০-১১ অক্টোবর স্পট এলএনজি কার্গো সরবরাহের সময়সীমা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথম এবং গত তিন মাসের মধ্যেও প্রথম।

গত মে মাসের শেষের দিক থেকে সামিট এলএনজি টার্মিনাল (এসএলএনজি) বন্ধ থাকায় প্রায় চার মাস বিরতির পর রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই কার্গো ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে।

এর আগে জুলাই মাসের ২৪-২৫ তারিখে টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে স্পট কার্গো আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। এই এলএনজির পরিমাণ ছিল আনুমানিক ৩.৩৬ মিলিয়ন এমএমবিটিইউ।

মে মাসের শেষের দিকে সামিট গ্রুপের তরঙ্গায়িত গ্যাস উৎপাদন ও খনন জাহাজ (এফএসআরইউ) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের পর থেকে স্পট ক্রয়ে এলএনজি দরপত্র ইস্যু বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ।

ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলনের কারণে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এলএনজি কার্গোর চাহিদা প্রায় থেমে যায়।

আরপিজিসিএলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, স্পট বাজার থেকে এলএনজি আমদানি পুনরায় শুরু হওয়ায় দেশের মোট এলএনজি পুনঃগ্যাসীকরণ ৭০১ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে বেড়ে ১,০০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি হবে।

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ার পর , অন্তর্বর্তী সরকার এখন স্পট বাজার থেকে এলএনজি আমদানি বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।’

তবে স্পট বাজার থেকে এলএনজি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপে ঠেকে ঠেকে বাধা আসছে কারণ দরপত্রগুলো ২০০৮ সালের জনস্বার্থে গ্রহণযোগ্য বিধিমালা (পিপিআর) অনুযায়ী ন্যূনতম চাহিদার চেয়ে কম ছিল।

আরপিজিসিএল কম দরপত্র পেয়েছে যার ফলে বারবার পুনরায় দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে।

তবে স্পট বাজার থেকে এলএনজি আমদানি পুনরায় শুরু হওয়ায় দেশের গ্যাস-নির্ভর ভোক্তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন।

এদিকে, পার্স্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দুটি দীর্ঘমেয়াদী এলএনজি সরবরাহকারী - কাতারগ্যাস এবং ওকিউ ট্রেডিং - তাদের বার্ষিক সরবরাহ কার্যক্রম অনুযায়ী এলএনজি সরবরাহ করে যাচ্ছে।