হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় সরকার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত নয় সরকার। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমরা দিল্লিতেও খোঁজখবর নিয়েছি। কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।’

মো. তৌহিদ হোসেন

৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগের পর দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে দুবাই যাত্রা করেছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। আমরা দিল্লিতেও খোঁজ নিয়েছি। কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে তিনি গিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে আমরা তা নিশ্চিত করতে পারিনি।’

ভারত থেকে ট্র্যাভেল পাস নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বাংলাদেশে ফেরার জন্য ট্র্যাভেল পাস দেওয়া হয়, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের চাপে শেখ হাসিনাকে অন্য কোনো দেশে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আপনার যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।’

ভারতে কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখা গেছে। মামলার আসামি হওয়ায় তাদের ফিরিয়ে আনার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা সেখানে আছেন এটা আপনারা গণমাধ্যমে দেখেছেন, আমিও দেখেছি। এর বাইরে আমি কিছু জানি না। চলমান বা অতীতের মামলার কারণে আদালত যদি মনে করে যে তাদের হাজির হওয়া প্রয়োজন, তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’

সম্প্রতি, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

এছাড়াও, ঝাড়খণ্ডে এক সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সম্প্রতি একই ধরনের মন্তব্য করেছেন।

এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব কেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি মনে করি, এ ধরনের মন্তব্যের জবাবে আমরা যে বিবৃতি দিয়েছি তা আপাতত যথেষ্ট। দেখা যাক পরিস্থিতি কোথায় গড়ায়। তাদের নির্বাচন আসছে, সেই প্রেক্ষাপটেই তারা এসব কথা বলছেন। আমরা চেষ্টা করব যেন এ ধরনের বক্তব্য কমে আসে, একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।’

গত ৫ আগস্টের পর থেকে দেশত্যাগ করা বাংলাদেশি রাজনীতিকদের কোন তালিকা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তার কাছে এমন কোন তালিকা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল গণমাধ্যমে যা দেখেছি তাই জানি। তবে, যদি আমরা মনে করি যে এই ধরনের তালিকা প্রয়োজন, তাহলে আমরা অবশ্যই এটির জন্য অনুরোধ করতে পারি।’