সমুদ্রপথে হজযাত্রা: আগামী মৌসুমেই শুরু হতে পারে

সৌদি আরব সরকার বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সমুদ্রপথে পরিবহনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে হজযাত্রীদের যাত্রাপথে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। রোববার (৬ অক্টোবর, ২০২৪) বিকেলে জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে।

মসজিদুল হারাম

বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ এফ এম খালিদ হোসেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তৌফিক ফাওজান আল-রাবিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে সৌদি মন্ত্রী এই উদ্যোগে সৌদি সরকারের সমর্থনের কথা নিশ্চিত করেন বলে সোমবার বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ড. আল-রাবিয়া সমুদ্রপথে হজযাত্রী পরিবহনের বিষয়ে কোন আপত্তি না থাকলেও, সৌদি আরবের বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও আলোচনার মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশকে জাহাজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

হজযাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার আগামী মৌসুমেই পরীক্ষামূলকভাবে ২০০০ থেকে ৩০০০ হজযাত্রীকে জাহাজে পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে।

সমুদ্রপথে হজযাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি, ড. আল-রাবিয়া ড. হোসেনকে আশ্বস্ত করেন যে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সৌদি আরব বায়োমেট্রিক সিস্টেম আপগ্রেড করবে।

হজ এজেন্সি মালিক ও প্রতিনিধিদের জন্য মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি, যাতে পরিচালন ব্যবস্থা আরও সহজ হয়।

২০২৩ এবং ২০২৪ সালে 'রুট টু মক্কা' প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হারিয়ে যাওয়া লাগেজের ঘটনা সম্পর্কে উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়ে সৌদি মন্ত্রী ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।

উপদেষ্টা ২০২৪ সালের অনুরূপভাবে প্রতি এজেন্সির জন্য ২৫০ জনের কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।