ডি-৮ সম্মেলনে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ

চলতি বছরের শেষের দিকে মিশরে অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি জানান, আগামী ২০২৪ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন মিশরে অনুষ্ঠিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রদূত ওমর এ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে অংশগ্রহণের জন্য মিশরের আমন্ত্রণপত্র তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত 'ডি-৮' হলো বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক - এই আটটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা। ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুলে রাষ্ট্র/সরকার প্রধানদের এক শীর্ষ সম্মেলনে ডি-৮ সংস্থা প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নতি, বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি ও বৈচিত্র্য আনা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নই ডি-৮-এর মূল লক্ষ্য।

রাষ্ট্রদূত ওমর আরও বলেন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের যাত্রায় মিশরের পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

এছাড়াও, অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত ওমর।

উভয় দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মিশরীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে।

২০২৪ সালে বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপনের আলোকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বানিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং অব্যবহৃত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে একমত হন। কৃষি, পেট্রোকেমিক্যাল, টেক্সটাইল এবং জাহাজীকরণকে পারস্পরিক সহযোগিতার মূল ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।

এছাড়াও, ফিলিস্তিনি জনগণকে বাংলাদেশ যে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত ওমর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন চলমান সংঘাতির স্থায়ী সমাধানের জন্য আরব রাষ্ট্রসমূহ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।