৪ দুর্বল ব্যাংক পেল ৯৪৫ কোটি টাকা
- Details
- by ২৪ ডেস্ক
ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়া চারটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে শক্তিশালী পাঁচ ব্যাংক ৯৪৫ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিয়েছে। সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের লোগো
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিশ্চয়তায় বা গ্যারান্টিতে অতিরিক্ত তারল্য আছে এমন পাঁচটি ব্যাংক এই ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে। যে পাঁচ ব্যাংক ঋণ দিয়েছে সেগুলো হলো- সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেসোমেস হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি বলতে বোঝায়, কোনো কারণে যদি কোনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই টাকা পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে সরাসরি তহবিল সরবরাহ না করে, অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা প্রদান করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বাজারের ভেতরেই এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরিত হওয়ায় মুদ্রাস্ফীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে না।
মুখপাত্র জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে পাঁচ ব্যাংক চার ব্যাংককে ঋণ আকারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা।
সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক।
ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ২০ কোটি টাকা এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে।
ঋণদানকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে সিটি ব্যাংক।
এর আগে, গত সপ্তাহে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে ১০টি শক্তিশালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আসন এইচ মনসুর।
১০টি ব্যাংক হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংক এবং বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক, সিটি, ঢাকা, ডাচ-বাংলা, ইস্টার্ন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক তা ফেরত দেবে। ঋণ দেওয়ার জন্য কোনো ব্যাংককে ফি নিতে দেওয়া হবে না।
প্রতিটি ব্যাংককে কত টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে। ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হবে দুই ব্যাংকের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে। এসব কারণে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে ১০টি ব্যাংক।
ইতোমধ্যে ৫টি ব্যাংক তারল্য সহায়তা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল, সোস্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। আরও দুটি ব্যাংক তাদের চুক্তি চূড়ান্ত করার অপেক্ষায় রয়েছে।
জটিল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে ঝুঁকিতে থাকা সাতটি ব্যাংক প্রায় ২৯,০০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫,০০০ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৭,৯০০ কোটি টাকা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ২,০০০ কোটি টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক ১,৫০০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩,৫০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫,০০০ কোটি টাকা এবং এক্সিম ব্যাংক ৪,০০০ কোটি টাকা সহায়তা চেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এস আলম গ্রুপ ৮টি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতো। এগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক। এছাড়াও, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপরও নিয়ন্ত্রণ ছিলো এই গ্রুপের। এই আটটি ব্যাংকই তারল্য সংকটে ভুগছে।
তবে, এর মধ্যে ছয়টি ব্যাংকের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, তাদের বেশিরভাগ শাখায় লেনদেন পরিচালনা করার মতো পর্যাপ্ত নগদ অর্থ ছিল না। আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত আতঙ্কিত
৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৮টি ছিল এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা অন্য তিনটি ব্যাংক হলো- আইএফআইসি, ইউসিবি এবং এক্সিম ব্যাংক।
এদের মধ্যে, আইএফআইসি ব্যাংকের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবার।
এছাড়াও, বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে ছিল এক্সিম ব্যাংক।
টিবিএস অবলম্বনে
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.