শেষ অবধি হার ঠেকাতে পারল না সফরকারী বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আজ কানপুর টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে ভারতের বিপক্ষে সাত উইকেটে হেরে গেল টাইগাররা। এই হারে দুই ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

jaiswal motored along in the chaseকানপুর টেস্টে দুই ইনিংসে ঝোড়ো ফিফটির সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন যাশাভি জসওয়াল। ছবি: বিসিসিআই

পাঁচ দিনের টেস্ট হলেও আক্ষরিক অর্থে খেলা হয়েছে দুই দিন। ১৫ সেশনের প্রায় ছয় সেশন খেলা হয়েছে। প্রথম দিনের প্রায় দুই সেশন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে পরের দুই দিন বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে এক বলও মাঠে গড়ায়নি।

নিষ্প্রাণ ড্রয়ের আশঙ্কা জাগানো কানপুর টেস্ট রোমাঞ্চ ছড়ায় চতুর্থ দিনে। এদিন দুই দলের পতন হয় ১৮টি উইকেট। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট করার পর টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করে ভারত। যেটির সুফল তারা পেয়েছে।

স্রেফ ৩৪.৪ ওভারে নয় উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। এ সময় টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রানের রেকর্ড গড়ে রোহিত শর্মার দল। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা লিড নেয় ৫২ রানের। যা ছিল মহামূল্যবান।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেটে ২৬ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে হারের ঝুঁকিতে পড়ে বাংলাদেশ। এই টেস্টে টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে। তবে ড্র করার সুযোগ ছিল। সেক্ষেত্রে শেষ দিনে অন্তত দুই সেশন খেলতে হতো নাজমুলদের।

কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ টিকে থাকতে পারেনি। দেড় শ’র আগেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। ভারত লক্ষ্য পায় ৯৫ রানের। কানপুরে চতুর্থ ইনিংসে এতো রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। অবশ্য রোহিতরা জিতলেন ইতিহাস গড়েই।

রান তাড়ায় ১৭.২ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত (৯৮/৩)। সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত, শুভমান গিল ও যাশাভি জসওয়াল। প্রথম দুজন আউট হন এক অংকে। তবে প্রথম ইনিংসের মতোই দ্রুতগতিতে ফিফটি তুলে নেন জসওয়াল। ৪৫ বলে ৫১ রান করেন তিনি।

৩৭ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের তিন উইকেটের দুটি নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিল চারটি। ভারতের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান আজ ফিরেছেন শূন্য হাতে।

ব্যাট হাতেও শূন্য রানে ফিরেছেন সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটার। খুব সম্ভবত এটাই হয়ে গেল সাকিবের বিদায়ী টেস্ট। তিনি আউট হয়েছেন বাজেভাবে। ২২ গজে দলের অন্য ব্যাটাররাও ‘আত্মহত্যা’র পথ বেছে নেন। দুই অংকে যেতে পারেননি দলের সাত ব্যাটার।

ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মুশফিকুর রহিম। এই দুজনই কিছুটা যা লড়াই করতে পেরেছেন। ১০১ বলে ৫০ রান করেছেন সাদমান। ৬৩ বলে ৩৭ রানে ফেরেন মুশফিক। এ ছাড়া অধিনায়ক শান্ত ৩৭ বলে ১৯ ও জাকির হাসান ১৫ বলে ১০ রানে আউট হয়েছেন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক ফিরেছেন দুই রানে।

বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছেন ভারতের তিন বোলার জাস্প্রিত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জাদেজা। প্রত্যেকেই নেন তিনটি করে উইকেট। টাইগারদের প্রথম ইনিংসেও বুমরাহর শিকার ছিল তিনটি। এ ছাড়া দুটি উইকেট পেয়েছিলেন মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপ ও অশ্বিন।

শেষজন হয়েছেন সিরিজ সেরা। আর ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে ওপেনার জসওয়ালের হাতে। দুই ইনিংসেই ঝোড়ো ফিফটি করেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ভারত যে টেস্ট ক্রিকেটের রেকর্ড বইয়ে ঝড় তুলেছিল সেটি জসওয়ালের কল্যাণেই। প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৫১ বলে ৭২ রান করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ ও ১৪৬/১০।
ভারত: ২৮৫/৯ ডি. ও ৯৮/৩।
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: যাশাভি জসওয়াল (ভারত)।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
সিরিজ সেরা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.