৩ কোটি টাকার চেক: জনপ্রশাসন সচিব বললেন, ‘মিথ্যা, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

ডিসি পদে নিয়োগের জন্য ৩ কোটি টাকার চেক দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেন। সংবাদমাধ্যমকে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তথ্য যাচাইয়ের আহ্বান জানান।

মো. মোখলেসুর রহমান

২৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ব্যবসায়ী মির্জা সবেদ আলী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মো. আব্দুল আউয়ালকে নওগাঁর ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে ৩ কোটি টাকার চেক দিয়েছিলেন। ওই প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয় যে, যুগ্ম সচিবের কার্যালয় থেকে ওই চেক উদ্ধার করা হলেও নিয়োগ না হওয়ায় তা ভাঙানো হয়নি।

মোখলেসুর রহমান এ প্রতিবেদনকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা বলে উড়িয়ে দেন।

তিনি বলেন, ‘কালবেলা পত্রিকা একটি গুজব ছড়িয়েছে এবং ছবি দিয়ে তা ভাইরাল করেছে। আমি গণমাধ্যমকে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য যাচাই করার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি একটি মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন।’

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে আর্থিক অনিয়মের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সচিব ব্যাখ্যা করে বলেন, ব্যবসায়ী মির্জা সবেদ আলী ২০২৩ সালে পদ্মা ব্যাংকে মাত্র ২,০০০ টাকা জমা দিয়ে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। বর্তমানে ওই অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সবেদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এর উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সুনাম নষ্ট করা,’ মন্তব্য করে তিনি সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন।

এ পরিস্থিতিতে মোখলেসুর রহমান বলেন, ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা রোধে কঠোর নিয়ম প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। একইসঙ্গে, মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও অনুরোধ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এছাড়াও, গণমাধ্যমে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানোর পরিকল্পনা করছে মন্ত্রণালয়।