সাগর-রুনি হত্যা মামলা: র‌্যাব বাদ, নতুন আইনজীবী

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র‌্যাবকে সরিয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমেদ।

সাগর-রুনি

এর আগে, রবিবার মামলার নতুন আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

বাদী রুনির ভাই নওশের রোমান জানান, সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উন্মোচনের আইনি লড়াই এখন পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ শিশির মনির।

অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘আমরা হত্যার রহস্য উন্মোচনের কাজ শুরু করব। এর অংশ হিসেবে, আমরা শীঘ্রই তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করব এবং নিম্ন ও উচ্চ আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা ১১৩ বার বাড়ানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৫ অক্টোবর।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে, মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ সম্পাদক সাগর সারোয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ (তখন ৫ বছর বয়সী) বাসায় উপস্থিত ছিল।

রুনির ভাই, নওশের আলী রোমান শের-ই-বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রাথমিকভাবে, মামলাটি তদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা নগর থানার জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল। তিন দিন পর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি কোনো অগ্রগতি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি র‌্যাবের কাছে স্থানান্তর করা হয়।

২০১২ সালের ১ অক্টোবর পুলিশ হত্যা মামলায় তানভীর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে, ২০১৪ সালে তিনি জামিন পান।

অন্যান্য সাত আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, আবু সৈয়দ, মিন্টু ওরফে বাঘিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, নিরাপত্তা প্রহরী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির এবং পলাশ রুদ্র পাল।

মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে দুজন জামিন পেয়েছেন, বাকিরা জেলে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ৭ জুলাই র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলমকে মামলার সপ্তম তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।