হিজবুল্লাহর প্রতিক্রিয়া: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবে

লেবাননের দক্ষিনে অবস্থিত হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে জল্পনা চলছিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে হত্যার দাবি করলেও হিজবুল্লাহ এ ব্যাপারে নীরব ছিল। অবশেষে হিজবুল্লাহ স্বীকার করেছে যে হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার শিকার হয়েছেন।

হাসান নাসরুল্লাহ

হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার বিষয় স্বীকার করে নেয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত টিভিতে কোরআন শরিফ পাঠ চলছে। তবে একই সঙ্গে তারা এ হত্যাকান্ড নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, নাসরাল্লাহ তার সহযোদ্ধা শহীদদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। গাজা ও ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং লেবাননের সম্মানিত জনগণের প্রতিরক্ষায়’ তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিজ্ঞা করেছে।

নাসরাল্লাহর সঙ্গে একই হামলায় ইরানের আধাসামরিক বিপ্লবী গার্ডের জেনারেল নিলফোরুশানও নিহত হয়েছেন। যিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এই জেনারেলকে গার্ডের অপারেশন বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ২০২২ সালে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছিল যে, তিনি ‘সরাসরি বিক্ষোভ দমনের দায়িত্বে’ থাকা একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন তাকে ২০২০ সালে বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির ‘সহযোদ্ধা’ বলে অভিহিত করেছিল। ২০২১ সালে, নিলফোরুশান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছিলেন যে, ইসরায়েলের দুর্বলতার কারণে ইরানের বিরুদ্ধে হুমকি হওয়ার মতো কোনো ক্ষমতা তাদের নেই।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদভ শোশানি বলেছেন, নাসরাল্লাহর বছরের পর বছরের অনুসন্ধান এবং রিয়েল টাইম তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নাসরাল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলের চিফ অফ স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি বলেছেন, নাসরাল্লাহর নির্মূল আমাদের কার্যকলাপের অবসান নয়, যা আরও হামলার ইঙ্গিত বহন করে।

তিনি বলেছেন, ‘এই হুমকি কমে নাই। আমরা আশা করি এটি হিজবুল্লাহর কার্যকলাপ পরিবর্তন করবে। লেবানন সীমান্ত ধরে প্রায় এক বছর ধরে প্রায় ৬০,০০০ ইসরায়েলি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে। সেনাবাহিনী লেবাননের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিরিক্ত রিজার্ভ সৈন্য সংগ্রহ করছে।