পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও সংশোধন কমিটি ভেঙে দিয়েছে সরকার

সরকার সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কমিটি ভেঙে দিয়েছে। শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক জারি করা এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের লোগো

গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. কে এম কবিরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সকল পাঠ্যপুস্তকের সংশোধন ও উন্নয়ন কার্যক্রমের তদারকির দায়িত্বে ছিল।

কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আক্তার খান, এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, এনসিটিবির শিক্ষাক্রম কমিটির সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবির চৌধুরী এবং এনসিটিবির প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারওয়ার জাহান।

পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতিফলন, প্রয়োজনীয় সংশোধন, বিষয়বস্তু, লিখনশৈলী ও ভাষা মূল্যায়ন, জাতীয় দর্শন, ইতিহাস, সামাজিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় মতাদর্শ ও নৈতিক মূল্যবোধের সঠিক প্রতিফলন যাচাই, শিক্ষাক্রমের শিক্ষণ কৌশলের সঙ্গে কার্যকলাপের সামঞ্জস্য নিশ্চিতকরণ, সংবেদনশীল বিষয়বস্তু চিহ্নিতকরণ এবং সকল সংশোধন কার্যক্রম সমন্বয় করাই ছিল এই কমিটির মূল কাজ।

কমিটি গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে এর সদস্য নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কমিটিতে ইসলামি বিদ্বানদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিল বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন। এছাড়াও, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞদের অনুপস্থিতির কারণে কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কয়েকজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে ঘোষণা করেছিল এবং ২০২৬ সাল থেকে সংশোধিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।