বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর আশঙ্কার মধ্যে স্বস্তির খবর

লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে ইসরায়েলের প্রচণ্ড বিমান হামলার পর তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ‘ভালো’ আছেন। ইসরায়েলি এই হামলার মূল টার্গেট ছিলেন নাসরুল্লাহ এবং আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তিনি আহত বা নিহত হয়েছেন।

হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ

ইসরায়েলের শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উপকণ্ঠে দাহিয়ায় হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার সময় নাসরুল্লাহ কমান্ড সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাসরুল্লাহকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয় এবং তীব্র ওই হামলা থেকে তার বেঁচে যাওয়ার বিষয়টি কল্পনা করা কঠিন।

তবে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক হিজবুল্লাহর একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের নেতা নাসরুল্লাহ ভালো আছেন।

নজিরবিহীন এ হামলার কথা স্বীকার করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগেরি বলেছেন, বেসামরিক ভবনগুলোর নিচে অবস্থিত হিজবুল্লাহর কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করেই বিমান হামলা চালানো হয়।

শুক্রবারের হামলায় পুরো বৈরুত কেঁপে উঠে এবং ঘন মেঘে ঢেকে যায়। দফায় দফায় চালানো হামলায় অনেক লোক হতাহত হয়। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বছরখানেক ধরে চলা সংঘাতে এটিই ছিল সবচেয়ে প্রবল হামলা। ইসরায়েলি টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো জানিয়েছে, হামলায় কয়েক শ' টন বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে।

হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরের ছয়টি ভবন পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলায় যে স্থানটি টার্গেট করা হয়েছিল, সেখানে সাধারণত হিজবুল্লাহর শীর্ষ কর্মকর্তারা সমবেত হতেন। গত কয়েক সপ্তাহের হামলায় ইসরায়েল হিজবুল্লাহর কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। শুক্রবার যখন তিনি সেখানে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তার এক ঘণ্টার মধ্যেই ভয়াবহ এ হামলা চালানো হয়।