বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: গুরুতর আহতদের চীনে পাঠানার পরিকল্পনা!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য চীনা চিকিৎসকদের দেশে আনা অথবা প্রয়োজনে আহতদের বিদেশে পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ডা. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন এ তথ্য জানান।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছবি - সংগৃহীত

তিনি বলেন, “চীনা চিকিৎসক দলের প্রতিবেদন এবং সুপারিশের ভিত্তিতেই আহতদের বিষয়ে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”

ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, চীনা চিকিৎসক দল আন্দোলনের সময় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, চিকিৎসা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “চীনা দলটি আহতদের চিকিৎসা এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা যাচাই করছে। তারা এখন পর্যন্ত প্রদত্ত সেবায় সন্তুষ্ট কিন্তু যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি চিহ্নিত করেছে।”

বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ২২ সেপ্টেম্বর চীনা চিকিৎসক দলটি ঢাকায় আসে এবং পরের দিন থেকেই তারা তাদের মূল্যায়ন শুরু করে।

তাদের সফরকালে, তারা ১৬০ জন আহত ব্যক্তির অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন, যার মধ্যে ১০৫ জনের চিকিৎসা রেকর্ডও রয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, চীনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তাদের সরকারকে বিষয়টি জানানোর পরপরই তারা দ্রুত সাড়া দেয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একটি চিকিৎসক দল তৈরি করা হয় এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তারা বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। দলটি পাঁচটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে এবং আহতদের চিকিৎসা সম্পর্কে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ প্রদান করে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, চীনা দলটি মূলত একটি মূল্যায়ন দল। তারা চীনে ফিরে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে আমাদের একটি সম্পূর্ণ মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রদান করবে।

বর্তমানে, তিনজন ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের মধ্যে দুজন আইসিইউতে এবং একজন গুরুতর চোখের আঘাতের শিকার। অন্য কয়েকজনের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

চীনা চিকিৎসক দলের প্রতিবেদন এবং পরামর্শের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই গুরুতর আহতদের চিকিৎসার ওপর জোর দেবে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের বিদেশে পাঠানো হতে পারে।

ডা. হেলাল উদ্দিন জোর দিয়ে বলেন, “মন্ত্রণালয় আহত সকলের, বিশেষ করে যারা গুরুতর অবস্থায় আছেন, তাদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।”