‘বাংলাদেশ ২.০’ এর জন্য সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেন আইএমএফ প্রধান

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএম এফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদাতা এই সংস্থা বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।

বৈঠকের ছবি

২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সে সময় তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। 

আইএমএফের প্রধান নির্বাহীকে ছাত্রজনতার নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। সে সময় জর্জিয়েভা বলেন, ‘এটি একটি ভিন্ন দেশ। এটি বাংলাদেশ ২.০।'    

প্রসঙ্গত, এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট তিনি ভারতে পালিয়ে যান।

বৈঠকে ইউনূস তার অন্তর্বর্তী সরকার যে ৬ টি কমিশন গঠন করেছে সে সম্পর্কে জানান। নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য এই কমিশনগুলো গঠন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত হলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।     

জর্জিয়েভা এই উদ্যোগের প্রতি তার সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্রুততর করবে আইএমএফ।

তিনি জানান, বাংলাদেশে আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। দলটি এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছে। তারা আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দেবে। 

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ বোর্ড প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে। অথবা এটি গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ প্রসারিত করতে পারে।

এই বৈঠকে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।