সরকারি গাড়ির অপব্যবহার বন্ধে কঠোর নির্দেশ

সরকারি গাড়ির অপব্যবহার বন্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার জারি করা এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অননুমোদিত গাড়ি ব্যবহারের ক্রমবর্ধমান প্রবণতা রোধ করা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

 বাংলাদেশ সরকারের লোগো

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিছু সরকারি কর্মচারীর অননুমোদিতভাবে গাড়ি ব্যবহারের ফলে জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক অপচয় ঘটছে। এটি নৈতিকতার প্রশ্নও তুলেছে, যা সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে এবং সরকারের জবাবদিহিতার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলছে। সরকার এ ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।

এসব উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কর্মকর্তাদের অননুমোদিতভাবে গাড়ি ব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ২ সেপ্টেম্বর তারিখের এক চিঠিতে উল্লেখ করেছে যে, বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মচারী প্রতিষ্ঠিত বিধি লঙ্ঘন করে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন, যা সরকারের নজরে এসেছে।

কিছু মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিভিন্ন অফিস, দপ্তর, সংস্থা, ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি থেকে যথাযথ যুক্তি ছাড়াই গাড়ি চাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও, ‘২০২০ সালের গাড়ি সেবা ও সুদবিহীন ঋণ নগদায়ন নীতিমালা’ অনুযায়ী সুদবিহীন ঋণ ও গাড়ি সুবিধা গ্রহণকারী কিছু কর্মকর্তা রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল (৫০,০০০ টাকা) পাওয়ার পরও সরকারি গাড়ির অপব্যবহার করছেন।

নীতিমালার ১৭ নং অনুচ্ছেদে এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধের ব্যবস্থা এবং সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।