চৌদ্দগ্রামের সেই ঘটনার নতুন মোড়, অভিযুক্ত লোটাস-মুজিবুল, নেপথ্যে শেখ হাসিনা! 

আট বছর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আগুনে পুড়িয়ে বাসের আট যাত্রীকে হত্যার ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরী। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এবং সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন।

পুড়িয়ে দেওয়া সেই বাস

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে আইকন পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে ওই ঘটনা ঘটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-মেয়েসহ আট যাত্রী নিহত হন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগে ঢাকায় লোটাস কামালের বাসভবনে এক বৈঠকে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বৈঠকে মুজিবুল হকও উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা দু'জন গণভবনে গিয়ে সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেন। শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়নে র‌্যাব-পুলিশকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন।

মনিরুল হক চৌধুরী আরও দাবি করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে ফাঁসাতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা গানপাউডার ব্যবহার করে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি মো. মনিরুল হক চৌধুরী

তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশ পেট্রল বোমা হামলার কথা বললেও তা সত্য নয়। আসিকুর রহমান বাপ্পী নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা গানপাউডার ব্যবহার করে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। এসব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় খালেদা জিয়া এবং বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর হত্যাকাণ্ডে বাসের তত্ত্বাবধায়ক আবুল খায়ের বাদী হয়ে মুজিবুল হক, পুলিশের সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।