দিল্লিতে ইলিশের কেজি ৪৩০০, এক ‘পিস’ ৭০০ টাকা!

প্রতি বছর দুর্গাপূজা মানেই ভারতের ভোজনরসিকদের পাতে বাংলাদেশি ইলিশের মৌ মৌ গন্ধ। কিন্তু এ বছর সেই চেনা পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারতের বাজারে ইলিশের দাম আকাশচুম্বী।

ইলিশ মাছ

স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপূজার সময় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হত। কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।

ফলে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারতীয় মাছ ব্যবসায়ীরা। কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারের এক পাইকারি মাছ বিক্রেতা জানান, তিনি দেড় কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ দুই হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতা হয়ে ভোক্তার হাতে যাওয়া পর্যন্ত এর দাম তিন হাজার রুপি (চার হাজার ২৯৫ টাকা) ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন শহরে ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে চার হাজার টাকারও বেশি। ফলে এবার দুর্গাপূজা ইলিশবিহীন কাটবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

ইলিশের ঊর্ধ্বমুখী দরের কারণে চিন্তায় পড়েছেন রেস্তোরাঁ মালিকেরাও। তারা জানান, বাধ্য হয়েই তাদের মেন্যুতে থাকা ইলিশের দাম বাড়াতে হচ্ছে। চেন্নাইয়ের একটি ক্লাউড কিচেনের মালিক জানান, বাজারে ইলিশের দাম এতটাই বেশি যে, এক পিস ভাপা ইলিশ ৭০০ টাকায় (৫০০ রুপি) বিক্রি করতে হচ্ছে।

কলকাতার বনেদী পরিবারের লোকজনেরা বলছেন, পূজার সময় ইলিশ লাগবেই। অথচ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে ইলিশের গায়ে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, যদিও অন্তর্বর্তী সরকার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও বাংলাদেশের জেলেরা সমুদ্র থেকেই ভারতীয় জেলেদের কাছে ইলিশ বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে পাওয়া গেছে।