আনিসুল, সালমান ও পলককে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রাহমান এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলায় আজ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আনিসুল হক, সালমান এফ রাহমান ও জুনাইদ আহমেদ পলক

জুলাই এবং আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত মৃত্যুর ঘটনায় বাড্ডা এবং খিলগাঁও থানায় এই মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছিল।

আজকের শুনানির সময় আনিসুল, সালমান এবং পলককে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট জাকি আল ফারাবীর আদালতে হাজির করা হয়।

আনিসুল হককে তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, আব্দুল জব্বার সুমন এবং সিরাজুল বেপারীর মৃত্যুর ঘটনায় বাড্ডা থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সালমান এফ রাহমানকে এমদাদুল হক, তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং হাসান মাহমুদের মৃত্যুর ঘটনায় বাড্ডা এবং খিলগাঁও থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আনিসুল এবং সালমানকে ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন মামলায় তিন দফায় মোট ২৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

জুনাইদ আহমেদ পলককে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এমদাদুল হক এবং তৌফিকুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বাড্ডা থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে পলককে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় এমদাদুল হক এবং আব্দুল জব্বার সুমনের মৃত্যুর ঘটনায় বাড্ডা থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তাকেও আজ একই আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে ছয় বছর বয়সী জাবির ইব্রাহিম, ফজলুল করিম, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদির, জসিম, ওমর নুরুল আবসার, সোহাগ মিয়া, আব্দুল হান্নান, আশিকুল ইসলাম এবং মিজানুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনায় ভাটারা, খিলগাঁও, উত্তরা পূর্ব এবং উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা আরও ১০টি হত্যা মামলায় মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল।

৪ সেপ্টেম্বর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে মুদি দোকান মালিক আবু সায়েদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আট দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।