বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে আইডিবি

ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) আগামী তিন বছরে ২০২৪-২৬ সালের জন্য সদস্য দেশ অংশীদারিত্ব কৌশলের (এমসিপিএস) আওতায় বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে।

ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের লোগো

মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইডিবির আঞ্চলিক প্রধান মুহাম্মদ নাসিস সুলাইমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘সদস্য দেশ অংশীদারিত্ব কৌশলের (এমসিপিএস) অংশ হিসেবে, আগামী তিন বছরের জন্য ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’

আইডিবি গ্রুপের বাণিজ্য অর্থায়ন শাখা, আন্তর্জাতিক ইসলামী বাণিজ্য অর্থ কর্পোরেশনের (আইটিএফসি) জ্বালানি তেল কেনার জন্য বাংলাদেশকে ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সুলাইমান বলেন, সরকারের সঙ্গে সামগ্রিক আলোচনার অংশ হিসেবে এ বিষয়টিও উঠে এসেছে।

আইডিবির এমসিপিএস আগামী কয়েক বছরের জন্য বিস্তারিতভাবে তৈরি করা হবে যাতে বাংলাদেশকে আইটিএফসির সহায়তাসহ সকল ধরনের সহায়তার পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়।

আইডিবির আঞ্চলিক প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়নে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা মোকাবেলায় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।’

আইডিবি গ্রুপের হস্তক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন,‘"সরকার সামগ্রিকভাবে ব্যাংকের সহায়তা চাইছে, বিশেষ করে আইটিএফসির সঙ্গে আমরা আলোচনা করব কীভাবে সহায়তা আরও জোরদার এবং এগিয়ে নেওয়া যায়।’

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আইডিবির অব্যাহত সহায়তার কথা উল্লেখ করে সুলাইমান বলেন, ‘আইডিবির কৌশল এবং সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনা করে, আমরা আশা করি সম্পদের ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করতে পারব।’

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইডিবি বাংলাদেশের একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্বাস্থ্য খাতে, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশকে সহায়তা প্রদান করে আসছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ রাস্তা পুনর্নির্মাণে সহায়তার জন্য সরকার তাদের অনুরোধ জানিয়েছে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে সিলেটে একটি জরিপ করেছেন।

‘সামগ্রিকভাবে, আইডিবি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামীণ রাস্তা পুনর্নির্মাণে আমাদের সহায়তা করবে। তারা ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য খাতে, সেতু নির্মাণে, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে আমাদের সহায়তা করছে,’ তিনি আরও বলেন।

জ্বালানি তেল ক্রয়ে সহায়তার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাব্যতা যাচাই করবে আইডিবি।

‘আমরা তাদের তহবিল সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি এবং তারা সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না, কারণ আইডিবি বোর্ডের সভা ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে,’ তিনি আরও বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জেদ্দাভিত্তিক এই ঋণদাতা সংস্থা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করবে, কারণ তারা দেশের প্রকল্প চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহায়তা প্রদান করবে।

এমসিপিএস সম্পর্কে তিনি জানান, সরকার সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করবে এবং তারপর আইডিবি সেগুলো বিবেচনা করবে।