বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে!

শনিবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, যথাযথ অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন বেসরকারি খাত বাংলাদেশের উন্নয়নের সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আলোচনার ছবি

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক আলোচনার পর দূতাবাস জানায়, জ্বালানি নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টার এবং পরিবহন – বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে মার্কিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো।

বৈঠকে মার্কিন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক সহকারী সচিব ব্রেন্ট নিম্যান, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জেরড ম্যাসন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স (ভারপ্রাপ্ত) হেলেন লাফেভ, রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাউন্সিলর এরিক গিলান এবং মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) মিশন পরিচালক রিড আশ্লিম্যান।

বৈঠক সূত্রে জানা যায, আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (এ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, সহ-সভাপতি এরিক এম ওয়াকার, মেটলাইফ ইন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলা উদ্দিন আহমেদ, মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং জিই’র কান্ট্রি ম্যানেজার নওশাদ আলীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন সহকারী সচিব ব্রেন্ট নিম্যানের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল শনিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকাস্থ পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (উত্তর আমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম।

গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথম মার্কিন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে ‘বহুমুখী’ আলোচনার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘(এই মেয়াদের মধ্যে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দলের আগমন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতি তাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এর অর্থ হলো এই আলোচনা বহুমুখী হবে; এটি কেবল একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রতিনিধিদল রবিবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি তারা বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

পররাষ্ট্র সচিব জসিম একটি কর্মসভা আয়োজন করবেন যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘মার্কিন ও বাংলাদেশি কর্মকর্তারা আলোচনা করবেন কিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন চাহিদা পূরণে সহায়তা করতে পারে।’

নির্দিষ্ট এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আলোচনা শুরুর আগে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না, যা আলোচনার স্বাভাবিকতাকে ক্ষুন্ন করতে পারে।’

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব জসিম বলেন, সরকার সকলের সঙ্গ পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বিষয়াদিতে বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিকভাবে আগ্রহ রয়েছে।