নয়াদিল্লি থেকে আসছেন লু, আলোচনায় থাকতে পারে যেসব ইস্যু

ঢাকা ও ওয়াশিংটন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বহুমুখী ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবে, কারণ ঢাকা একটি উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) ডোনাল্ড লু, যিনি বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন।

ডোনাল্ড লু

এই সফরটি ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম প্রতিনিধি দলের সফর। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন এই উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল।

পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন জানান, এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বারোপের প্রতিফলন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম দলটির আগমন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি তাদের গুরুত্বারোপের বড় প্রতিফলন। এর অর্থ হলো এই আলোচনা বহুমুখী হবে; এটি শুধু একটি বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।’

মার্কিন প্রতিনিধি দলটি তাদের অন্যান্য কর্মসূচীর পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্র সচিব এক ওয়ার্কিং লাঞ্চ আয়োজন করবেন যেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, মার্কিন ও বাংলাদেশি কর্মকর্তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন চাহিদা পূরণে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করবেন।

এছাড়াও, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু তার সফরকালে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।’

লু ঢাকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন। প্রতিনিধি দলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়, ইউএসএআইডি এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। মার্কিন সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া) লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ড এবং আন্তর্জাতিক অর্থ বিষয়ক মার্কিন উপ-সচিব/সহকারী সচিব ব্রেন্ট নিম্যানও মার্কিন প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।

এই সফরের প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা ৪ স্তর থেকে ৩ স্তরে নামিয়ে এনেছে। এই সংশোধিত সতর্কতা মার্কিন প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কিছু সময় আগে জারি করা হয়েছে।