আসিফ মাহমুদ: ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে

ভারত এতদিন বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন আর তা হবে না। এখন তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে হবে, সম্মান দিয়ে। বাংলাদেশের মানুষও ভারতের সঙ্গে কথা বলবে চোখে চোখ রেখে, মাথা উঁচু করে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বক্তব্য দিচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

‘দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই কর্মসূচিতে উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি কিছু চায় না। তারা স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করতে চায়। মৌলিক অধিকারগুলো নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে চায়। আগামীর বাংলাদেশ চলবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ভারত একদিন বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এখন আর তা হবে না। এখন তাদেরকে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বাংলাদেশেল মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে সম্মান দিয়ে। বাংলাদেশকে পেছনে ফেলার যে চর্চা তারা এতদিন ধরে করে আসছিল, তা থেকে সরে আসতে হবে।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মানুষ হিসেবে ভারতের সঙ্গে এ দেশের মানুষের কথা হবে চোখে চোখ রেখে, মাথা উঁচু করে।

সভায় আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হবে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে। আমরা এসেছি আপনাদের মতামত শুনতে। আপনারা যেভাবে মতামত দেবেন, আমরা সেভাবেই সামনের বাংলাদেশের রূপরেখা দেব।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নিয়ন মনির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক জিয়াউদ্দিন আয়ান, বুয়েটের সমন্বয়ক মাহি খান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রুবেল হোসাইন প্রমুখ। কুমিল্লার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন কাজী মহিবুর রহমান ও ইয়াসিন আরাফাত।

এদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সভা শুরুর আগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের পশ্চিম দিকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া সভার শুরুতে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়ে তাদের শান্ত করেন।

সভায় আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, আমরা এসেছি আপনাদের মতামত শুনতে। আপনারা যেভাবে মতামত দেবেন, আমরা সেভাবেই সামনের বাংলাদেশের রূপরেখা দেব।

উল্লেখ্য, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নারায়ণগঞ্জ, রাঙামাটি, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, মেহেরপুর, পটুয়াখালী, পাবনা ও কুড়িগ্রামে একযোগে এ ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এদিকে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সভা শুরুর আগে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের পশ্চিম দিকে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া সভার শুরুতে শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার মাইকে বারবার অনুরোধ জানিয়ে তাদের শান্ত করেন।