‘আমি বাংলাদেশের নাহিদ রানা হতে চাই’

দুর্দান্ত গতিতে সকলের নজর কেড়ে নেওয়া তরুণ পেসার নাহিদ রানা। নিজের আগ্রাসী বোলিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা তৈরি করে এই তরুণ ইতিমধ্যেই ‘সেনসেশনে’ পরিণত হয়েছেন। তবে নিজেকে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ এই তরুণ। তিনি চান, ক্রিকেট বিশ্ব তাকে চিনুক ‘বাংলাদেশের নাহিদ রানা’ হিসেবে।

নাহিদ রানা

এই একুশ বছর বয়সী পেসার তার কাঁচা গতিতে সকলকে অবাক করে দিয়েছেন, যা বাংলাদেশি পেসারদের কাছ থেকে ক্রিকেট বিশ্ব আগে খুব একটা দেখেনি। ১৪৯.৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে দুবার বল করার পর, দ্বিতীয় টেস্টে অবশেষে ১৫২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে বল করে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতির রেকর্ড ভেঙে দেন তিনি।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এই লম্বা পেসার বলেন, ‘আমি অন্য কারো মতো হতে চাই না, আমি রানা, নাহিদ রানা। আমি চাই ‘বাংলাদেশের নাহিদ রানা’ হিসেবে পরিচিত হতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি আসলে কাউকেই অনুসরণ করি না। বাংলাদেশের সব পেসারদেরই আমি শ্রদ্ধা করি কারণ আমি তাদের খেলা টিভিতে দেখেই বড় হয়েছি। আমি কারও অনুকরণ করতে চাই না।’

গত মার্চে টেস্ট অভিষেকের পর, ডানহাতি এই দ্রুত বোলার সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তান সিরিজে সকলের নজর কাড়েন। দুই টেস্টে তিনি ছয় উইকেট নেন যার মধ্যে তার ক্যারিয়ার সেরা ৪/৪৪ রান। উইকেটের চেয়েও বেশি নজর কাড়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের তার গতির বিপক্ষে স্পষ্ট অস্বস্তি।

তার উচ্চতা তাকে অতিরিক্ত বাউন্স পেতে সাহায্য করে, যা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ঝুঁকির মুখে ফেলে। দ্বিতীয় টেস্টে, তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের মোকাবেলায় পাকিস্তান চাপের মধ্যে পড়ে যায়। অতিরিক্ত বাউন্স এবং দ্রুত গতির যোগফলে তিনি মাত্র একটি স্পেলেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন।

নাহিদ রানা বর্তমানে ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন যে, তিনি তার গতি বাড়ানোর চেষ্টা না করে দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে চান।

তিনি বলেন, ‘আমি কখনই অনুভব করিনি যে আমাকে গতি বাড়িয়ে ১৫২ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বোলিং করতে হবে। আমি দলের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করেছি। তবে মাঝে মাঝে আমার নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ীও বোলিং করেছি।’ তিনি আরও বলেন যে, দ্রুত বোলিং করার জন্য ছন্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

‘গতি এমন জিনিস নয় যে আপনি কেবল বলার মাধ্যমেই তা বাড়িয়ে ফেলতে পারবেন। এটা নির্ভর করে ছন্দের ওপর। যখন আপনি ভালো ছন্দে থাকবেন, তখন সবকিছু সহজ হয়ে যাবে।’