আরেক ইতিহাস, স্বপ্নের ঠিকানায় রোনালদো

আবারও জাতীয় দলে গোলের দেখা পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এই গোলেই পর্তুগিজ যুবরাজ পৌঁছে গেলেন স্বপ্নের ঠিকানায়। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন ‘সিআর সেভেন’। রোনালদোর দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে উয়েফা নেশনস লিগের হারানো রাজত্ব উদ্ধারের মিশন পর্তুগাল শুরু করল জয় দিয়ে।

পর্তুগালের জয়ে মধ্যমণি হয়ে থাকলেন ৯০০ গোলের মাইলফলক ছোঁয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ছবি: গোলডটকম

বৃহস্পতিবার রাতে লিসবনে ক্রোয়েশিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। মহারণের তিনটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। সবকটি গোলই করেছেন পর্তুগিজ ফুটবলাররা। তবে তৃতীয় ও শেষ গোলটি স্বাগতিকদের বিপক্ষে গেছে। ৪১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করেন ডিয়োগো দালোত; লড়াইয়ে ফেরার আভাস দেয় ক্রোয়াটরা। কিন্তু শেষ অবধি হার ঠেকাতে পারেননি লুকা মডরিচ অ্যান্ড কোং।

অবশ্য আত্মঘাতী গোল করলেও পর্তুগালকে ম্যাচের শুরুতে লিড এনে দিয়েছিলেন এই দালোতই। সাত মিনিটে গোল করে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান তিনি। ৩৪ মিনিটে চমৎকার এক ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২১৩ ম্যাচে ৩৯ বছর বয়সী সুপারস্টারের এটা রেকর্ড ১৩১তম (সর্বোচ্চ) গোল। দুই দশকেরও বেশি সময়ের ক্লাব ক্যারিয়ারে পর্তুগিজ যুবরাজের ৭৬৯টি গোল আছে।

এসব গোল রোনালদো করেন স্পোর্টিং লিসবন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাস ও আল নাসেরের হয়ে। ইউনাইটেডে দুই মেয়াদে ছিলেন তিনি। তবে রোনালদো সবচেয়ে বেশি গোল করেন রিয়ালের জার্সিতে। গতকাল বিশেষ গোলের উদযাপন করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ম্যাচ শেষে ‘সিআর সেভেন’ বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের আরেকটি মাইলফলক ৯০০তম গোল।’

রোনালদো যোগ করেন, ‘এটির জন্য দিনের পর দিন কত পরিশ্রম করতে হয়েছে সেটা কেবল আমিই জানি। এটা আমার ক্যারিয়ারের ব্যতিক্রমী একটা মাইলফলক। আমি রেকর্ড ভাঙি না। বরং তারা আমাকে খুঁজে নেয়।’ পর্তুগালের হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ ও উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা জিতেছেন রোনালদো। চিরকালীন আক্ষেপ হয়ে আছে ফিফা বিশ্বকাপ। দেশের হয়ে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি।

কিন্তু রোনালদোর কাছে ইউরোর ট্রফি বিশ্বকাপের সমতুল্য। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘পর্তুগালের হয়ে ইউরো জেতা প্রায় বিশ্বকাপের সমতুল্য। আমি ইতোমধ্যে পর্তুগালের হয়ে দুটি শিরোপা জিতেছি। সত্যি বলতে আমি এসব জিততে চেয়েছি। এতে অবশ্য আমি অনুপ্রাণিত হই না। ফুটবল উপভোগের মাধ্যমে আমি অনুপ্রাণিত হই এবং রেকর্ড প্রাকৃতিকভাবেই আসে।’