সালমানের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণ থেকে আইএফআইসি ব্যাংককে মুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইএফআইসি ব্যাংকের লোগো

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নতুন বোর্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান, যিনি একজন পরিচালক এবং ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরপরই ঋণখেলাপির কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

অভিযোগ রয়েছে, সালমান সরাসরি এবং বেনামী কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন পন্থায় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ তুলে নিয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে বন্ড এবং সুকুকের মাধ্যমে ব্যাংক এবং জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহেরও অভিযোগ রয়েছে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, পুলিশ তাকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

নতুন আইএফআইসি ব্যাংক বোর্ডে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং দু'জন প্রতিনিধি পরিচালক রয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি অনুসারে, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কাজী মো. মাহবুব কাশেমকে আইএফআইসি ব্যাংক বোর্ডে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকটিতে সরকারের ৩২.৭৫ শতাংশ শেয়ার থাকায়, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা এবং যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ মঞ্জুরুল হককে প্রতিনিধি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে, আটটি বেসরকারি ব্যাংক বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়েছে।

এই ব্যাংকগুলি বিভিন্ন সমস্যার কারণে তারল্য সংকটে ভুগছিল। এস আলম গ্রুপ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর মালিকানাধীন অ্যাভিভা ফিনান্সের বোর্ডও ভেঙে দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি সাবেক ভূমিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউসিবি ব্যাংকের বোর্ডও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।