এটিএম বুথ থেকে বেরিয়ে এলো আসল টাকার স্ক্যান কপি

ভারতের শাহজাহানপুর নাম এক এলাকায় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এটিএম বুথ থেকে বের হয়েছে একটি দুই হাজার রুপির স্ক্যান করা কপি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী একটি সংবাদ মাধ্যম। এ রকম কেলেঙ্কারির খবরে নড়েচড়ে বসেছেন ভারতের এটিএম বুথ ব্যবহারকারীরা।

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। অরবিন্দ গুপ্ত নামের একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার একটি এটিএম বুথ থেকে ১০ হাজার টাকা তুলেন। মেশিন থেকে দুই হাজার টাকার পাঁচটি নোট বের হয়। সেখানে একটি নোট দেখেই তার সন্দেহ হয়। যেটি দেখতে মোটেও আসল নোটের মতো নয় বলে দাবি তার।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত যে ধরনের কাগজে টাকা ছাপানো হয়, এটি সে ধরনের কাজ নয়। ফলে আমার সন্দেহ হয়। আমি আলোর উল্টো দিকে নোটটি উঁচু করে ধরেই বুঝতে পারি যে, এটি আসল নয়।’

গুপ্ত দাবি করছেন, তিনি যখন এই জাল নোটটি পান, তখন তার পিছনে আরো কয়েকজন এটিএম বুথে ঢোকার লাইনে ছিলেন। তারা তার জাল নোট পাওয়ার সাক্ষী। জাল নোটটি নিয়ে পরে তিনি এটিএম বুথটির কাছাকাছি স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার শাখায় যান। ততক্ষণে কাজের সময় শেষ গিয়েছিলো। তারপরও যে কজন ব্যাংকে ছিলেন, তিনি তাদের কাছে অভিযোগ জানান।

কিন্তু গুপ্তকে ব্যাংক থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে এটিএম বুথে জাল নোট পাওয়া যেতে পারে, এমন সম্ভাবনা নাকচ করে দেয় ব্যাংক। পরে গুপ্ত এলাকার লোকজনকে জড়ো করে ব্যাংকের সামনে প্রতিবাদ করেন। উপায়ন্তর না দেখে ব্যাংকের কর্মীরা গুপ্তকে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পরে গুপ্ত অভিযোগ দায়ের করে ব্যাংক ছাড়েন।

গুপ্ত পুলিশেও একটি অভিযোগ করে রেখেছেন। শাহজাহানপুর পুলিশের একজন কর্মকর্তা গুপ্তর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং জানান যে, ব্যাংক খোলার পর তারা এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করবেন।

এ দিকে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ওই শাখার ব্যাবস্থাপক জেপি চান্দেল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটার কোনো সুযোগই নেই। কারণ আমাদের নিজস্ব লোকজন এটিএমে টাকা ভরে। তারা এ ধরনের কাজ করতে পারে না। তারপরও আমরা ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখবো আসলে কী ঘটেছে।’