‘স্বর্ণের ভাগ নয়, জেলে যাব’

সোনা বলে কথা! এতো সহজে কেউ কি আর গুপ্তধনের সন্ধান দিতে চান? ঠিক এমনটিই ঘটেছে সমুদ্র প্রকৌশলী টমি থম্পসনকে নিয়ে। আমেরিকার এই সমুদ্র প্রকৌশলী একটি ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সোনা উদ্ধার করেন। এরপর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হলে পালিয়ে থাকেন বেশ ক’দিন। যখন ধরা পড়লেন তখন সেই সোনার সন্ধান দিয়ে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও তিনি এতে নারাজ। জেলেই যাবেন তিনি। তবু সোনার ভাগ নয়!

১৮৫৭ সালে ঝড়ের কবলে পড়ে এসএস সেন্ট্রাল আমেরিকান নামের একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিলো সমুদ্রে। জাহাজ ভর্তি ছিলো সোনার বার আর কয়েন। আমেরিকান ব্যাংকগুলোর জন্যই এই সোনা বহন করছিল জাহাজটি।

ডুবে যাওয়ার এতো বছর পর সেই সোনা উদ্ধারে তৎপর হন টমি থম্পসন। উদ্ধার কাজে তার পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন ১৬১জন ধনকুবের। তারা সবাই মিলে ১২ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দেন থম্পসনকে। শর্ত শুধু একটাই, সোনা সমান ভাগ হবে।

কিন্তু সোনা উদ্ধারের পর ওই শর্ত বেমালুম ভুলে যান থম্পসন। উল্টো উদ্ধারকৃত সোনা ৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। এই ঝামেলা থেকেই শেষে থম্পসনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করা হয়। মামলার পর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। মাত্র অল্প কিছুদিন আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই থম্পসন ফ্লোরিডার একটি হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে থম্পসন সাধারণ যানবাহনে করে চলাফেরা করতেন।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন থম্পসন আইনজীবীদের মাধ্যমে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ব্রিটিশ পুরুষ পাবে পিতৃত্বকালীন ছুটি

বেলুনে চড়ে ‘ইন্টারভিউ’

পাল্টে যাচ্ছে দিল্লির নাম