অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা

অতি উৎসাহী এবং স্বার্থান্বেষী মহলের জোরপূর্বক পদত্যাগ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অবৈধ তল্লাশি, লুণ্ঠন, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডারবাজির মাধ্যমে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতার নিন্দা জানিয়েছে সরকার। একইসাথে, এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোগো

আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কিছু মহল পুলিশকে মামলা দায়েরে চাপ প্রয়োগ করছে এবং আদালতে আসামিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে, সরকার সকলকে আশ্বস্ত করে বলছে, “মামলা হলেই এলোপাতাড়ি গ্রেপ্তার করা হবে না। সকল মামলার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “সরকার সকল দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ‘দলমত নির্বিশেষে’ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন”-এর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে।

“জনবিস্ফোরণ দমনের জন্য পতিত সরকারের নির্মম বলপ্রয়োগের ফলে বহু মানুষের মৃত্যু এবং আহত হয়েছে। দীর্ঘদিনের অপশাসনের সময় অপহরণ, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বহু মানুষ,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

“ফলে, বিদায়ী সরকারের প্রতি জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর,” বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়।

জননিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায় এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে - সরকারের এ ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

“কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাদের অফিসে জানাতে হবে। কোনভাবেই কোন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করা যাবে না এবং কোন ধরনের সহিংস আচরণ করা যাবে না,” বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে।

“তল্লাশি পরোয়ানা জারি এবং মামলা গ্রহণের ক্ষেত্রে যাতে যথাযথ অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমে কোন ধরনের উৎপীড়ন না হয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সকলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের সাথে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।