চট্টগ্রাম বন্দরে নিষিদ্ধ ৯ ব্যাংক!

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তার শাখা এবং উপ-শাখাগুলিকে ৯টি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের পে-অর্ডার, চেক এবং ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ৯টির মধ্যে ৭টি ব্যাংকের সঙ্গে এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গত ২৯ আগস্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি জ্ঞাপন জারি করে।

ব্যাংকের লোগো

এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৭টি ব্যাংক হলো - ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

এছাড়াও, পদ্মা ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রিত চারটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে এবং স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে। এই চারটি ব্যাংক হলো - ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মতে, এইসব ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়ম এবং ঋণ জালিয়াতির কারণে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে, যার ফলে তারা গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে ছয়টি ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, বিশেষ করে নিয়োগ এবং ঋণ বিতরণে।

গত ২৮শে আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে, নবনিযুক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এস আলমের কেলেঙ্কারিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাংকিং ডাকাতি বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করে’ এস আলম গ্রুপ প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা ‘লুট করেছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বে আর কেউ কি এত বড় আকারে এবং এভাবে ব্যাংক লুট করেছে কিনা তা আমার জানা নেই।’

এছাড়াও তিনি জানান, এস আলমের নামে এবং ‘অজ্ঞাত’ মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

এস আলম গ্রুপের অধীনে ঋণ অনিয়মের ফলে এইসব ব্যাংক তীব্র তারল্য সংকটে পড়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার’ সম্পৃক্ততায় এইসব অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে।