ঢামেকে চিকিৎসক হেনস্তা: ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ তুলে একদল শিক্ষার্থী কর্তৃক একজন চিকিৎসককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত ও শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢামেকের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি পূরণ না হলে হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি'র (বিইউবিটি) ২৪ বছর বয়সী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্ত। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসলে আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অগাস্টিন মিল্টন ডি'কস্তা জানান, দীপ্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দীপ্তর মৃত্যুর পর তার সহপাঠীরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে বিকেলে জরুরি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্যরা, ঢামেক পরিচালক এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হন।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢামেকের চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠলে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার চাওয়া উচিত। হামলা করে নয়।’

এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষেত্রে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা আরও বলেন, ‘হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে কর্মবিরতি শুরু করা হবে।’

একই সঙ্গে ঢামেকসহ সব হাসপাতালেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে, ঢামেকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম শিক্ষার্থীদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।