জাতিসংঘ মিশনকে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করল আফগানিস্তান!

তালেবান সরকারের নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রোপাগেশন অব ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইস জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানের জাতিসংঘ মিশনের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় এই মিশনকে বিরোধী পক্ষ বলে অভিহিত করেছে।

আফগানিস্তানের পতাকা

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহযোগিতা মিশন (ইউনামা) নতুন নৈতিকতা আইন নিয়ে সতর্ক করে দেওয়ার পর এই ঘোষণা দিয়েছে তালেবানের নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ইউনামা বলেছে, নারীদের সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার যে আইন করা হয়েছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তালেবানদের জড়িত হওয়ার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

নৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউনামার ক্রমাগত প্রপাগাণ্ডার কারণে তাদেরকে কোনো প্রকার সমর্থন দেওয়া বা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা প্রদান করা হবে না। তাদেরকে একটি বিরোধী পক্ষ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

২৯ আগস্ট, বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা চাই যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা, দেশ এবং ব্যক্তি এই আইনের সমালোচনা করেছে তারা যেন মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে সম্মান করে। এছাড়া ইসলামী মূল্যবোধ ও পবিত্রতাকে অবমাননা করে এমন সমালোচনা ও বক্তব্য থেকে বিরত থাকে।'  

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেটকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিনি জাতিসংঘের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বিবৃতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কোনো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তালেবান সরকারের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে বলেছেন, বেনেটকে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আফগানিস্তানে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি এমন কেউ নন, যার কথা আমরা বিশ্বাস করতে পারি।' 

উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই তালেবান কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেটে ৩৫ ধারার নতুন নৈতিকতা আইন প্রকাশ করে। এতে পুরুষদের পোশাক, দাড়ি রাখা এবং নামাজ পড়ার পাশাপাশি জীবিত প্রাণীর ছবি রাখা, সমকামিতা, পশুদের লড়াই, জনসমক্ষে গান বাজানো, অমুসলিম ছুটির দিনগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া নারীদের বাইরে বের হলে মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক করা হয়।

সূত্র: দ্য নিউ আরব