বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি: জাতিসংঘের অনুসন্ধান দল আসছে

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান দল পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা এই দলটি তদন্ত করবে।

ভলকার তুর্ক

শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে তুর্কের মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে একটি অনুসন্ধান দল পাঠাবে। এই দলটি প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় সংঘটিত লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করবে, এর মূল কারণ বিশ্লেষণ করবে এবং বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী এই কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বাংলাদেশের কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপকেও স্বাগত জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনে যোগ দেওয়ার ঘোষণা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক বলপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত।

তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে বলপূর্বক গুমের ইতিহাসকে 'দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক' বলে উল্লেখ করেছে। তারা জাতীয় তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে, তবে কমিশনের কার্যক্রম পিড়িত ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ট পরামর্শের মাধ্যমে এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য প্রণীত নির্দেশিকা নীতিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত বলে তারা মনে করে।