অবশেষে এক হচ্ছে গণফোরাম

চার বছরের বিভক্তির অবসান ঘটিয়ে আবারও এক ছাতার নিচে আসছে গণফোরাম। দলটির ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনায় এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের একটি অংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

ছবি - সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই ‘পুনর্মিলিত গণফোরাম’ এর জাতীয় কাউন্সিল আয়োজন করব।’

ড. কামাল হোসেন: অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সৃষ্ট নতুন সুযোগের কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি, ‘অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক থাকার’ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে যাতে কোনো অপশক্তি বা ষড়যন্ত্র বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’

গণ-অভ্যুত্থানের অর্জনকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি, গণফোরামের নেতা-কর্মীরা সকল মতপার্থক্য ভুলে নতুন যাত্রা শুরু করবেন।’

১৯৯৩ সালের ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ত্যাগ করা ড. কামাল হোসেন ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে গণফোরাম প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০০৮ সালে সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিকের মৃত্যুর পর মোস্তফা মহসীন মন্টু গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হন।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে গণফোরামের একদল নেতা একটি কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের ১৫৭ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দেন, ফলে দলে বিভক্তি দেখা দেয়।

দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু এবং সাবেক নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে ওই অংশের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ৫ মে ড. কামাল মোস্তফা মহসীন মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক করেন। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেজা কিবরিয়াও দল থেকে পদত্যাগ করেন।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর এক বিশেষ কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেন গণফোরামের এমেরিটাস সভাপতি নির্বাচিত হন। মফিজুল ইসলাম খান ও মিজানুর রহমান খানকে এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।