সোহেল তাজের ‘ভয়ংকর অভিজ্ঞতা’, চাইলেন নিরাপত্তা

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, কিছুদিন যাবত তিনি বিভিন্ন মহল থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সোহেল তাজ

সোহেল তাজ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘শত শত প্রাণহানির পর ছাত্রসমাজ এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে, পরিবর্তন চেয়েছিল, এ সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ চাই।’

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি এ সরকারের সফলতা কামনা করি। যে কোনো ভালো কাজ বা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন অপরিহার্য বলে মনে করি। সুশাসনের জন্য আইনের শাসন অত্যাবশ্যক।’

সোহেল তাজ বলেন, ‘গত বুধবার কাজ শেষে ডিওএইচএসের বাসায় ফিরছিলাম, তখন একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করতে থাকে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢোকার পর সে আমাকে থামার জন্য ইশারা করে। তার শার্টের নিচে লাল-নীল বাতি জ্বলছিল। কে সে, বুঝতে পারিনি। সাধারণত ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে এমপিরাই গাড়ি থামান। আমাকে থামানোর পর বারবার জিজ্ঞেস করলাম সে কে, পরিচয় কী, কেন থামতে বলল? সে বলতে লাগল, আমাদের লোকজন আসছে, আপনাকে থামতে হবে।’

সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একপর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে চিনেন? সে বলল, হ্যাঁ, আপনি সোহেল তাজ। আমি আরও অবাক হলাম। এরপর ফোনে কথা বলতে শুনলাম, জাহাঙ্গীর গেট দিয়ে ঢুকে গেছে। তোমরা এই লোকেশনে চলে আসো। বারবার জিজ্ঞেস করলাম তার পরিচয় কী, উত্তর দিল না। এরপর আবার ফোনে কথা বলে বলল, যেতে পারি ‘

তিনি আরও বলেন, ‘যা বুঝলাম, যে লোকের সঙ্গে কথা বলছিল সে অন্য কোথাও অবস্থান করছিল। হয়ত তারা ভেবেছিল মহাখালী দিয়ে বের হব।”’

সোহেল তাজ বলেন, ‘মনে হয়, এখানে একটা ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। এসব বিষয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করতে এসেছি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অধিকার আছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত দ্রুত সম্ভব উন্নত করার জন্য তাকে অনুরোধ করেছি, তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখন সাধারণ নাগরিক হলেও পরিচয় তো রয়েই গেছে। সেই অবস্থান থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নানাভাবে কিছু করার ইচ্ছা থাকতে পারে।’