ফখরুল: এক-এগারোর মুখ দেখলেই সন্দেহ হয়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা যখন আবারও সক্রিয় হন, তখন তারা পরিস্থিতি নিয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়েন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

‘আমরা এক-এগারোর স্মৃতি ভুলি নাই। যখন সেই মুখগুলো আবারও দৃশ্যপটে ফিরে আসে, তখন তা নানান সন্দেহ ও প্রশ্নের জন্ম দেয়,’ পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের দাবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ কথা বলেন।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি এই নেতা। তিনি অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং তাদের সম্পত্তি দখলের ঘটনায় দলটিকে কালিমালিপূর্ণ প্রচারণার শিকার হতে হচ্ছে।

তার মতে, এক-এগারোর মতো দেশের রাজনীতিকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপিকে টার্গেট করে এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এক-এগারো হলো সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতীকী নাম।

বর্তমান সরকারের মধ্যে রাজনীতিতে বিতর্ক সৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখতে পেয়েছেন কিনা একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘না, আমি তা দেখিনি। আমি শুধু সতর্ক করে দিচ্ছি। কিছু মুখ আছে যাদের দেখতে আমরা ভয় পাই।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, যারা এতদিন একেবারেই উধাও ছিলেন, তারাই এখন হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছেন। তারা হুট করেই প্রথম পাতায় চলে এসেছেন... তারা তাদের তত্ত্ব এবং বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না, তবে আমি বিশ্বাস করি সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য এটি মোটেও ভালো নয়।’

২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক-এগারো সরকারের সময় যারা রাজনীতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিল, তাদের আমরা ভুলি নাই। এমনকি আমাদের দলকে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্র, রাজনীতি এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আমাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের মিত্রদের দেখতে চায় না, ঠিক যেমন তারা আগে গণতন্ত্রকে বানচাল ও ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, তাদেরও সহ্য করতে চায় না ‘

‘মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত,’ তিনি আরও যোগ করেন।

জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন, কারণ সংগঠন গঠন করা সংবিধান প্রদত্ত অধিকার। তবে, দলটিকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে।

‘যদি কোনো দল বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস না করে, তাহলে তাকে সমর্থন করা উচিত নয়। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, জনগণের সংগঠিত হওয়ার এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে,’ তিনি বলেন।