ফখরুল: জনগণ ও ব্যবসায়ী উভয়ই নির্বাচিত সরকার চায়

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের জনগণ এবং ব্যবসায়ীরা উভয় পক্ষই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচিত সরকার চায়। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ছবি - ইউএনবি

ফখরুল বলেন, “মানুষ গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায়। নির্বাচন হলে তারা খুশি হয় এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়। আমাদের এইসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জনগণকে জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলবে যে এখনই নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করেন, তাদের ব্যবসার জন্য, শিল্পের বিকাশের জন্য এবং অর্থনীতির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য। তারা স্পষ্টভাবে বলছেন, এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে তারা ব্যবসা করতে উৎসাহ পাচ্ছেন না। এটাই বাস্তবতা। আপনারা (সাংবাদিকরা) ব্যবসায়ী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এটি যাচাই করতে পারেন।”

“আমি যদি মনে করি যে, একজন ব্যক্তি কিংবা কয়েকজন ব্যক্তি স্বর্গ তৈরি করতে পারবে, তাহলে সেটা ভুল ধারণা হবে। দেশ কিভাবে চলবে তা জনগণই ঠিক করবে," বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, তাদের দল রাষ্ট্র সংস্কারকে সমর্থন করে। সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে বিএনপি এক বছর আগে ৩১ পয়েন্টের রূপরেখা উপস্থাপন করেছে।

ফখরুল বলেন, “গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা ও পূর্ণ সহযোগিতা দিতে ইচ্ছুক। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করব সরকার সঠিক পথে রয়েছে ততক্ষণ আমরা তা করব।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য যৌক্তিক সময়সীমা কী হবে তা জানতে চাইলে বিএনপি নেতা বলেন, এটি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণের বিষয়।

তিনি বলেন, “আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এটি নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের কী প্রয়োজন, তাদের কী প্রয়োজন এবং জনগণ কী চায় তা আমাদের বিবেচনা করতে হবে। বর্তমান সরকারের খুব শীঘ্রই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। আমি আগেও জোর দিয়ে বলেছি, আজও বলছি, দ্রুত আলোচনা হওয়া উচিত। অন্যথায়, অনেক ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে।”