ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্রিটিশ নাগরিক নিহত

ইউক্রেনে একটি হোটেলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক নিহত হয়েছেন। হোটেলের ধ্বংসস্তুপ থেকে রবিবার রায়ান ইভান্স নামে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি রয়টার্সের সাংবাদিক ছিলেন। হোটেলটিতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে দাবি ইউক্রেনের। তবে রাশিয়া এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

ব্রিটিশ নাগরিক রায়ান ইভান্স

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাতোর্স্ক শহরের হোটেল স্যাফায়ারে অবস্থান করছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক রায়ান ইভানস। হোটেল এলাকাটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেটি এখন সম্মুখসমরের একটি জায়গা।

ইউক্রেনের জেনারেল প্রসিকিউটর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হোটেলটি রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। সম্ভবত একটি স্বল্প পাল্লার ইস্কান্দার-এম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে রুশ বাহিনী।

শনিবার ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলেও রবিবার স্বেচ্ছাসেবীরা হোটেলটির ধ্বংসস্তুপ থেকে রায়ানের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ জানায়, ১৯ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান ও অনুসন্ধানের পর রবিবার সন্ধ্যায় হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়।

ইভান্স ইউক্রেনে দায়িত্বরত সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের সংবাদ-কর্মীদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন। তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে রয়টার্স নিউজ টিম। হামলায় টিমের আরও দুই সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এক বিবৃতিতে রয়টার্সের একজন মুখপাত্র বলেন, ইভান্সের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে আমরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এই মুহূর্তে আমরা তার পরিবারের পাশে রয়েছি।

ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা রায়ানের পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই। রায়ান আমাদের অনেক সাংবাদিককে সারা বিশ্বের ঘটনা কভার করতে সাহায্য করেছেন; আমরা তার অভাব অনুভব করবো।

এদিকে সাংবাদিক ইভান্সের মৃত্যুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামের এক শোকবার্তায় নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের মাটিতে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।

ক্রামাতোর্স্ক ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত অংশ থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে একটি সম্মুখসমর অঞ্চল। এলাকাটি নিয়মিত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি ক্রামাতোর্স্কে হামলায় অসংখ্য বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত ইউক্রেনীয় লেখিকা ভিক্টোরিয়া আমেলিনা।