‘ক্যু চেষ্টায়’ আসিফ মাহমুদের কড়া হুঁশিয়ারি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সচিবালয়ে আনসার সদস্যদের কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের যেকোনো অভ্যুত্থানের চেষ্টার জন্য তিনি ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে পারবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যু’র উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হন, তবে তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে দুই দিন ধরে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা। রোববার দুপুরে তারা সচিবালয়ের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিকেলে আনসার সদস্যদের প্রতিনিধিরা উপদেষ্টা ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক মিনিট পরেই তারা ফের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে রাখে।

অফিস ছুটি হয়ে যাওয়ার পরও সচিবালয়ের সবগুলো গেট আনসারদের বিক্ষোভের কারণে বন্ধ থাকায় সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন। রাত আটটার দিকে আনসার সদস্যরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রেখেছেন-এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে।

এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয় এলাকায় গেলে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা সচিবালয় ছেড়ে সরে যান।