২০০৪ সালের অক্টোবরে নাগপুর টেস্টে ভারতকে হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। এরপর কেটে গেছে ১৩ বছর, গুনে গুনে কেটে গেছে সাড়ে চার হাজারও বেশি দিন; কিন্তু ভারতে আর জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। অবশেষে সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ভারতের মাটিতে আবার জিতলো অসিরা। ঘুচে গেলো এক যুগেরও বেশি পুরোনো দুঃখটা। 

steve okeefe showing history making ball

স্টিভ স্মিথদের ভারতে আসার আগে শোনা যাচ্ছিলো, এবার তাদের অবস্থা আগের চেয়েও বেগতিক হবে। ম্যাচের পর ম্যাচ অপরাজিত থেকে ভারত এই কথাটা দারুণ যৌক্তিকই করে তুলেছিলো। বিশেষ করে বিরাট কোহলি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবিশ্বাস্য ফর্মের কারণে কথাটা সত্যই মনে হচ্ছিলো।

কিন্তু পুনে টেস্টে যা ঘটলো, তা যেনো সত্যের চেয়েও বড় সত্য। মিচেল স্টার্ক, স্টিভ ওকিফে এবং স্টিভ স্মিথের অসাধারণ দৃঢ়তা এবং অনিন্দ্য সুন্দর ক্রিকেটে ভর করে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারালো ৩৩৩ রানের লজ্জার ব্যবধানে। এমন পরিণতি যে বরণ করত হবে, ভারত হয়তো সেটা সুদূর কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি।

পুনেতে ভারতের ‘যমদূত’ হয়ে আবির্ভূত হলেন স্টিভ ওকিফে। পুনে টেস্টের আগে সব মিলিয়ে যিনি খেলেছিলেন মোটে চারটি টেস্ট। তাতে তার শিকার ছিলো মাত্র ১৪টি উইকেট। পুনে টেস্ট শেষে ওকিফের শিকার- সংখ্যা ২৬টি! এর মধ্যে ১২টিই পুনেতে।

দুই ইনিংসে সব মিলিয়ে ৭০ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন একে একে ১২টি উইকেট! ওকিফের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ের সামনেই মূলত এমন মাথা নোয়ানো হার বরণ করতে হলো বিরাট কোহলি ও তার দলকে।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে মাত্র ২৬০ রান। এই রান করেও যে তারা ৩৩৩ রানের ব্যবধানে জিততে পারবে, এটা হয়তো ভুলেও কল্পনা করেননি বিরাট কোহলি। কিন্তু আদতে হলো তাই।
অস্ট্রেলিয়ার ওই ইনিংসে ৬৩ বলে ৬১ রান করেন মিচেল স্টার্ক। ২০৫ রানে নয় উইকেট হারিয়ে ফেলার পর স্টার্ক ওই ইনিংসটি খেলেন। যা অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেয় ২৬০ রানের পুঁজি।

জবাব দিতে নেমে ভারত দেখে যে কোহলিও শূন্য ‘মারতে’ পারেন। অশনি সংকেতটা কি ভারত তখনই পেয়েছিলো? টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের পর মাত্র ২৪ বলের মধ্যে ছয় ছয়টি উইকেট তুলে নেন ওকিফে। তখনই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে পড়ে ভারত।

পরের নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করে ২৮৫ রান। এবার সেঞ্চুরি করেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্রমাণ করে দেন, কেনো তিনি টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। স্মিথের সেঞ্চুরিতে ভর করেই মূলত ভারতকে ৪৪১ রানের লক্ষ্য বেধে দেয় অস্ট্রেলিয়া।

এই রান তাড়া করার কাজটা বড্ড কঠিন। কিন্তু কতোটা কঠিন— ওকিফের সামনে পড়ে ভারত এই প্রশ্নের উত্তরটা দিতেই পারলো না। বরং তালগোল পাকিয়ে গুটিয়ে গেলো ১০৭ রানে। এবারও ওকিফে ভারতের ব্যাটিং লাইনে আঘাত হানলেন ছয়বার। তার সঙ্গে চারজন ভারতীয়কে ড্রেসিংরুমে ফেরান নাথান লিয়ন।

স্টার্ক, ওকিফে এবং স্মিথ; অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের এই তিন সতীর্থের পারফর্মেই মূলত ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো ভারত।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.