নেত্রকোনায় পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ, আহত ২৫

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ১৩জন সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পর ছাত্রদল জানিয়েছে, সমাবেশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিলেও পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে সমাবেশস্থলে নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এদিকে পুলিশে জানিয়েছে, কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের আয়োজন করেছিল ছাত্রদল।

শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দুয়া পৌর শহরের আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত হন, পুলিশের মোট পাঁচজন উপপরিদর্শক (এসআই), ১ জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও পুলিশের সাতজন সিপাহী। আহতদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল এবং নিকটবর্তী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শুক্রবার কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের আয়োজনে পৌর শহরের আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদল তাদের কর্মী সমাবেশের আহ্বান করে। সেখানে মাঝপথে পুলিশ বাধা দেয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদলের কর্মীদের ধাওয়া দেন। আহত হন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল হাসান আরিফসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে ছাত্রদল সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। ইটের আঘাতে পুলিশের সদস্যরা আহত হন।

কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়েই কর্মী সমাবেশ করছিল ছাত্রদল। এতে পুলিশ বাধা দিলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।'

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ছাত্রদল সভা করার জন্য কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি। অনেক জমায়েত দেখে পুলিশ বিষয়টি জানতে চেয়েছিল কিন্তু ছাত্রদলের কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালান। আক্রমণকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।