রাশিয়ায় সেতু ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন!

রাশিয়া বলছে, কুরস্কের সেতু ধ্বংস করতে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করায় কুরস্কের যুদ্ধাঞ্চল থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।

রাশিয়ার কুরস্কে সিইম নদীর ওপর সেতুটি ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্কে সামনিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে কুরস্কের কিছু অংশ তারা দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। গত শুক্রবার কুরস্কের গ্লুশকভস্কি জেলায় সিইম নদীর সেতুটি ধ্বংস করে দেয় তারা।

মস্কোর অভিযোগ, পশ্চিম রাশিয়ায় কৌশলগত সেতুটি ধ্বংস করার জন্য পশ্চিমাদের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা। সম্ভবত তা যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা শুক্রবার রাতে মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেন, প্রথমবারের মতো, কুরস্ক অঞ্চলে পশ্চিমা তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র সম্ভবত আমেরিকান হিমার্স দিয়ে আঘাত হেনেছে। সেতুতে হামলার ফলে ... এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা আরও অভিযোগ করেন, ওই সেতু হয়ে কুরস্কের বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।

রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে নিহত দুই স্বেচ্ছাসেবকের নাম প্রকাশ করেছে। তাস বলেছে, বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ায় নিয়োজিত দুই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা জানিয়েছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার জন্য কিয়েভকে তাদের অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এরপরই মূলত সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা।

কুরস্কের কিছু অঞ্চল দখলে নেওয়ার কথা জানিয়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড দখলে নেওয়ার ইচ্ছা তাদের নেই। তবে রাশিয়াকে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য চাপ দিতেই কুরস্কের অভিযান।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। আড়াই বছরের মাথায় এসে প্রতিরোধযুদ্ধ থেকে আক্রমণে গেছে ইউক্রেনীয় সেনারা।