৩৪ পেনাল্টির থ্রিলার, এমনটি আর দেখেনি ফুটবল বিশ্ব

উয়েফা ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে আয়াক্স-প্যানাথিনাইকসের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে যা ঘটল সেটির বিশেষণে কোনো শব্দই হয়তো যথেষ্ট নয়। অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব, অতুলনীয়, অনুনমেয় কিংবা অকল্পনীয়- এমন অনেক বিশেষণই যোগ হতে পারে যখন আপনি শুনবেন ম্যাচটির নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৪টি পেনাল্টির পর!

টাইব্রেকারে অবিশ্বাস্য এক জয়। আয়াক্স উদযাপন তো এমন হবেই! ছবি: বিবিসি

প্লে-অফের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল আয়াক্স। দ্বিতীয় লেগটা গোলশূন্য ড্রয়ের আশঙ্কা জাগায়। কিন্তু ৮৯ মিনিটে গোল করে বসেন প্যানাথিনাইকসের টিটে। দুই লেগ মিলিয়ে ফল দাঁড়ায় ১-১। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও ভাঙেনি সমতা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই হলো মহাথ্রিলার।

বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ স্টেডিয়ামে স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকে আয়াক্স জিতেছে সাডেন ডেথ পেনাল্টির সুবাদে। পেনাল্টি শ্যুট আউটে ডাচ ক্লাবটির জয় ১৩-১২ গোলে। অবিশ্বাস্য এই জয় দিয়ে ইউরোপা লিগের মূল পর্বের আশা বাঁচিয়ে রাখল আয়াক্স। আর মহানাটুকে হারের পর বিদায় নিলো গ্রিসের ক্লাবটি।

আয়াক্সের জয়ের নায়ক ৪০ বছর বয়সী গোলরক্ষক রেমকো পাসভির। পাঁচটি পেনাল্টি ঠেকিয়েছেন তিনি। নিজেও স্পট কিক থেকে করেছেন এক গোল। টাইব্রেকে দুই দল মিলে গোল মিস করেছে নয়টি। একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল পেনাল্টির লড়াই বোধহয় অনন্তকাল ধরে চলবে! শেষ অবধি ৩৪তম শটে গিয়ে ভাগ্য নির্ধারণ হলো।

ম্যাচের ফলটিই বলে দিচ্ছে কতটা স্নায়ুচাপের পরীক্ষা দিতে হয়েছে দুই দলের গোলরক্ষককে। আদতে মাঠের ভেতরের, বাইরের এবং দর্শক- সম্মিলিত সবাইকে ধৈর্যশক্তির চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হয়েছে। টাইব্রেকে এমন লড়াইয়ের ঘটনা বিরল। গত বছর উয়েফা কনফারেনস লিগেও এমনকিছু দেখেছিল ফুটবল দুনিয়া।

বাছাইয়ের সেই ম্যাচটার নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৪-১৩ গোলে! সেই ম্যাচে অবশ্য দুই দল মিলে পেনাল্টিতে শট নিয়েছিল ২৭টি। এবার সর্বোচ্চ পেনাল্টি শটের ম্যাচের রেকর্ড হলো। তবে পেনাল্টিতে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড অবশ্য আগেরটাই বহাল থাকল।