পদত্যাগের ঘোষণা জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসছে সেপ্টেম্বরে তার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নতুন নেতা নির্বাচন করলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। খবর বিবিসির।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা

জাপানে ১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় রয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। আর দলটির প্রধান হিসেবে ২০২১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ফুমিও কিশিদা।

ক্ষমতাসীন দলটির কিছু নেতার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতির কেলেঙ্কারি বেশ আলোচিত। এছাড়া দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় এবং মুদ্রা ইয়েনের রেকর্ড মূল্যহ্রাসের প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা।

এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল এলডিপির প্রধান হিসেবে আর পুনঃনির্বাচনে যেতে চাচ্ছেন না কিশিদা। তিনি বলেছেন, দল ও সরকারের হাল ধরার জন্য নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন।

আগামী সেপ্টেম্বরে দলটি নতুন নেতা নির্বাচন করার পর ৬৭ বছর বয়সী কিশিদা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কিশিদা পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে, জনগণকে দেখাতে হবে যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এলডিপিতে পরিবর্তন আনার প্রথম পদক্ষেপ হবে আমার সরে যাওয়া।

এদিকে দলের নেতাদের আর্থিক কেলেঙ্কারী ও দেশে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত মাসে এক জরিপে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কিশিদার প্রতি জনসমর্থন কমে তলানিতে ঠেকেছে। তাকে অনুমোদনের রেটিং ১৫.৫ শতাংশে নেমে এসেছে – যা বিগত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য সর্বনিম্ন।

এমন পরিস্থিতিতে দলের অভ্যন্তরে, কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা আগামী ২০২৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে এলডিপিকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার জন্য একটি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।

গত ডিসেম্বরে দলের জন্য সংগৃহিত একটি তহবিল থেকে বড় অঙ্ক নিজেরা হস্তগত করেছেন অভিযোগে এক রাতে কিশিদার মন্ত্রিপরিষদ থেকে চার মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গণে ব্যাপক সমালোচিত হয় এবং এ নিয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছেন জাপানের প্রসিকিউটররা।