হামাস নেতা মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু: তদন্তে নয়া তথ্য

দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এক ডাক বিভাগের কর্মীর বিশ্বাসঘাতকতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। জেরুজালেম পোস্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ

আল-আরাবিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ডাককর্মী কাসসাম ব্রিগেডের রাফা ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ শাবানেহর গোপন বার্তা বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। এই সুযোগে সে মোহাম্মদ দেইফ এবং খান ইউনিস ব্রিগেডের প্রধান রাফাত সালামার মধ্যে একটি গোপন বৈঠকের খবর ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে ফাঁস করে দেয়। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ইসরায়েল হামলা চালিয়ে দেইফকে হত্যা করে।

তদন্তে আরও উদ্‌ঘাটিত হয়েছে যে, রাফা এলাকার এক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য ওই ডাককর্মী এর আগেও বেশ কয়েকবার মোহাম্মদ শাবানেহর অবস্থান সম্পর্কে ইসরায়েলকে তথ্য দিয়েছিল। তার এই তথ্যের ভিত্তিতে তিনবার এলাকায় হামলা চালানো হয়েছিল। যদিও সেই হামলাগুলোতে শাবানেহ বাবর্তে গিয়েছিলেন।

নিজের অপরাধ স্বীকার করে ওই ডাককর্মী জানিয়েছে, সে রাফা ব্রিগেডের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর গোপন বার্তা আদান-প্রদানের সুযোগে তাদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইসরায়েলের কাছে পাঠাতো।

দেইফের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ওই ডাককর্মী জানিয়েছে, ইসরায়েল তাকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, রাফাত সালামা যেখানে লুকিয়ে আছেন, সেখানে মোহাম্মদ দেইফের উপস্থিতি টের পেলেই তাদের খবর দিতে হবে। একদিন সে লক্ষ্য করে যে, দেইফ ওই এলাকায় অবস্থান করছেন। সে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলকে এই তথ্য পৌঁছে দেয়। এর ভিত্তিতে ইসরায়েল হামলা চালায় এবং সেই হামলাতেই দেইফ নিহত হন।

এছাড়াও, ওই ডাককর্মী স্বীকার করেছে যে, সে রাফার একটি মানচিত্র ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে পাঠিয়েছিল। সেই মানচিত্রে হামাসের সুড়ঙ্গ, অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অবস্থান চিহ্নিত করা ছিল। এমনকি হামাসের বিস্ফোরক, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সে ইসরায়েলি বাহিনীকে জানিয়ে দিয়েছে।