গাজার স্কুলে হামলা-হতাহতে কমলা হ্যারিসের নিন্দা

গাজার উদ্বাস্তুদের আশ্রয় নেওয়া একটি স্কুল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেসামরিক শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। শনিবার গাজার আল-তাবাঈন স্কুল ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী ওই বিমান হামলা চালায়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস শনিবার অ্যারিজোনায রাজ্যের ফিনিক্সে একটি প্রচার সমাবেশে বলেন, গাজায় অনেক বেশি বেসামরিক লোককে এখনও হত্যা করা হচ্ছে।

বরাবরের মতো গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা। হোয়াইট হাউসও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে।

হামাসকে লক্ষ্য করে ওই স্কুলভবনে হামলা চালানো হয়েছে- ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমলা হ্যারিস বলেন, ইসরায়েলের ‘হামাসকে উৎখাত করার’ অধিকার রয়েছে তবে বেসামরিক হতাহত এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও তাদের রয়েছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান শনিবার ভোরে তাবাঈন স্কুল ভবনে বোমা হামলা চালায়। এতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

হতাহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গাজার আল-আহলি হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের প্রধান ডা. ফাদল নাঈম জানান, নিহতদের মধ্যে ৭০ জনকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়েছে। অনেকের দেহাবশেষ এত খারাপভাবে বিকৃত হয়ে গেছে যে শনাক্ত করা কঠিন।

স্কুলভবনে ওই হামলায় বেসামরিক হতাহতের নিন্দা ও সমালোচনা জানিয়েছে জাতিসংঘ, পশ্চিমা বিশ্বসহ আঞ্চলিক দেশগুলো। মিশর বলেছে, এমন হামলার মানে হচ্ছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর বা গাজা যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইচ্ছা নেই।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র সেলিম ওয়েইস বলেন, হামলাটি ছিল ভয়ঙ্কর। স্কুলটি অন্তত এক হাজারের বেশি বেসামরিক ব্যক্তি, নারী-শিশুর আশ্রয় কেন্দ্র ছিল। এসব উদ্বাস্তু মানুষ স্কুল বা মসজিদ, এমনকি হাসপাতালের আঙিনায় যে কোনও ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে।

গাজায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ধরনের স্কুল ভবনের আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মতে, গাজার ৫৬৪টি স্কুল ভবনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৭৭টি সরাসরি হামলার শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।