চড়া মূল্য দিয়ে ‘ঘরের ছেলে’কে ফেরাল বার্সা

গত মাসের মাঝামাঝিতে শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ কাঁপিয়েছেন ড্যানি ওলমো। খুব স্বাভাবিকভাবেই তার ওপর নজর পড়ে বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্লাবগুলোর। সবাইকে তুরুপের তাস দেখিয়ে বাজিমাত করেছে বার্সেলোনা। শৈশবের ক্লাবে ফিরতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার।

গত মাসে স্পেনের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ে বিরাট অবদান রেখেছেন ড্যানি ওলমো। ছবি: ফাইল

২৬ বছর বয়সী ওলমোকে জার্মান ক্লাব লাইপজিগ থেকে উড়িয়ে আনতে বার্সার খরচ হচ্ছে ৬০ মিলিয়ন ইউরো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্থিক সংকটে থাকা কাতালান ক্লাবটির জন্য অংকটা বড় বটে। ওলমোর সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি করেছে তারা। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের রিলিজ ক্লজের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো।

ফুটবলে ওলমোর হাতেখড়ি হয়েছিল স্পেনের আরেক ক্লাব এস্পানিয়লের জার্সিতে। সেখানে স্রেফ এক বছর কাটিয়েছেন তিনি। বয়স ভিত্তিক ফুটবলের প্রায় পুরোটা সময় এই বার্সাতেই কাটিয়েছেন ওলমো। বার্সার একাডেমি লা মাসিয়া থেকে তার উত্থান। সাত বছর বার্সা যুব দলে কাটানোর পর ক্রোয়েশিয়ান ক্লাব ডায়নামো জাগরেবে নাম লেখান ওলমো।

ক্রোয়েশিয়ান ক্লাবে অর্ধ যুগ সময় কেটেছে ওলমোর। ২০২০ সালে তাকে কিনে নেয় জার্মানির ক্লাব লাইপজিগ। অবশেষে ‘ঘরে’ ফিরলেন ওলমো। এ জন্য বার্সাকে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। নিজেদের একাডেমির ফুটবলার হাতছাড়া করার পর তাকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছে কাতালানরা। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওলমোকে দলে টানার খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা।

ক্লাবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘ওলমো যেখানেই খেলুন না কেন, নিজের প্রতিভার বিকাশ সবসময় ঘটিয়েছেন। সতীর্থদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার গুণ আছে তার।’ শৈশবের ক্লাবে ফিরতে ওলমোকে সহায়তা করেছে প্রায় চার সপ্তাহ আগে শেষ হওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।

টুর্নামেন্টে চার গোল করে যৌথভাবে গোল্ডেন বুট জিতেছেন ওলমো। যা মুগ্ধ করেছে বার্সাকে। সেটি কাতালানদের বিবৃতিতেই পরিষ্কার, ‘সবসময়ই তার লক্ষ্য থাকে গোল করা। সেটা আমরা এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দেখেছি। পেনাল্টি বক্সের ভেতর এবং বাহির- দুই দিক থেকেই তিনি গোল করতে পারেন।’

জার্মান ফুটবল ছাড়ার আগে ওলমো ভালোবাসা জানিয়েছেন লাইপজিগের প্রতি। চার বছরের অধ্যায়ে এই ক্লাবের হয়ে দুটি জার্মান কাপের শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। যা ভুলতে পারবেন না ওলমো। তিনি বলেছেন, ‘লাইপজিগ তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি সবসময় আমার হৃদয়ে থাকবে। তোমাকে সবসময়ই ভালোবাসি।’