জাবি উপাচার্যের পদত্যাগ, রেজিস্ট্রারও সরে দাঁড়ালেন

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিনের নিকট তিনি পদত্যাগপত্র পাঠান। জাবির চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর তিনিও পদত্যাগ করেন।

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম

পদত্যাগপত্রে অধ্যাপক নূরুল আলম উল্লেখ করেন, তিনি দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলেন। তবে এখন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।

রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, উপাচার্য মো. নূরুল আলম ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে আজ (বুধবার) দুপুরে পদত্যাগপত্র মেইল করেন। আমি সব ফর্মালিটিজ সম্পন্ন করে রাষ্ট্রপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে নিজেও পদত্যাগ করেছেন বলে জানান রেজিস্ট্রার আবু হাসান।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান মো. নূরুল আলম। চার বছরের জন্য তিনি নিয়োগ পেয়েছিলেন। তবে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি পদ থেকে সরে গেলেন। এর আগে ২০১৮ সালে অধ্যাপক নূরুল আলম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নিযুক্ত হন। ২০২২ সালের ১ মার্চ তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের মেয়াদ শেষ হলে ২ মার্চ থেকে উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন জাবির শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভেতরে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিপীড়ন চালায়। এ সময় নিজ ভূমিকার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হন নূরুল আলম। এমনকি গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমেরও পদত্যাগের দাবি ওঠে।