ইসমাইল হানিয়ার জানাজায় অনুপস্থিতি: ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তেহরানে নিহত হন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া। শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। তবে তার এই জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ইসমাইল হানিয়া ও মাহমুদ আব্বাস

ইসমাইল হানিয়া দীর্ঘদিন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান এবং ২০০৬ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস দীর্ঘদিন ধরেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 

রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকায় ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসমাইল হানিয়ার মধ্যে দূরত্ব ছিল, তবুও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উভয়েই ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্ব করতেন।

কাতারে ইসমাইল হানিয়ার জানাজা

এ অবস্থায় হানিয়ার জানাজায় প্রেসিডেন্ট আব্বাসের অনুপস্থিতি সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সমালোচকদের মতে, মাহমুদ আব্বাস যেখানে ফিলিস্তিনের শত্রু ইসরায়েলের সাবেক প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে হানিয়ার মৃত্যুতে তিনি তার জানাজায় অংশ নেননি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দাবি করা হয়েছে, মাহমুদ আব্বাস তার প্রতিনিধি হিসেবে ফাতাহ আন্দোলনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহমুদ আল-আলাউল এবং আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জিব্রিল রাজউবকে হানিয়ার জানাজায় পাঠিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার তেহরানে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ইসমাইল হানিয়া ও তার দেহরক্ষী রহস্যজনকভাবে নিহত হন।

ইসমাইল হানিয়া ও তার দেহরক্ষীর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ইরানে। এতে ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। পরে তাদের কাতারে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহায় মুহাম্মাদ বিন আবদুল ওয়াহহাব মসজিদে জুমার নামাজের পর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে লুসাইলের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়।