রুয়ান্ডায় একমাসে ৪ হাজার গির্জা বন্ধ

মধ্য আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় একমাসে ৪ হাজারটির বেশি গির্জা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি মেনে চলতে ব্যর্থতা এবং অননুমোদিত জায়গায় স্থাপিত হওয়ার কারণে এসব গির্জা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।

রয়ান্ডায় সামাজিক বিধিবিধান রক্ষায় কঠোরহস্ত পল কেগামের সরকার

রুয়ান্ডা একটি খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশ। তবে দেশটিতে যেখানে সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো গির্জা গড়ে ওঠায় তার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচ বছর আগে একটি আইন পাস করে প্রেসিডেন্ট পল কেগামের সরকার।

২০১৮ সালে আইনটি যখন গৃহীত হয়, তখন প্রায় ৭০০ গির্জা প্রাথমিকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল। আর গত মাসে আইনটি বাস্তবায়নে গিয়ে মোট ৪ হাজার ২২৩টি গির্জা বন্ধ করা হয়। আইনটি করার পর এটিই প্রথম বড় ধরনের ক্র্যাকডাউন। আইনটির অধীনে কিছু অননুমোদিত মসজিদও বন্ধ করা হয়েছে।

রুয়ান্ডার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জিন ক্লদ মুসাবিমানা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাসিন্দাদের প্রার্থনা করতে বাধা দেওয়ার জন্য নয় বরং তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রুয়ান্ডা গভর্নেন্স বোর্ডের (আরজিবি) সঙ্গে স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষ মিলে চলমান অভিযান চালাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে বন্ধ করে দেওয়া গির্জার মধ্যে ৪২৭টিই গড়া হয়েছিল পাহাড়ের গুহায়। কোনোটি নদীর তীর দখল করে বা কোনোটি পাহাড়ের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছিল।

কোনো গির্জার অবকাঠামো ছিল খুবই জরাজীর্ণ বা নিরাপত্তাহীন, কোনোটি ছিল কোনোরকম তাঁবুর মতো। যত্রতত্র এসব গির্জা থেকে শব্দদূষণও হচ্ছিল। অনেকে গির্জা চালু করার আগে পাদ্রি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ধর্মতাত্ত্বিক প্রশিক্ষণও নেয়নি।

আইন পাস করার সময় রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে বলেছিলেন, এতবেশি উপাসনাগৃহের প্রয়োজন নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক বেশি উন্নত থাকলে এগুলো টিকিয়ে রাখা যেত।

রুয়ান্ডায় কঠোর সামাজিক নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রেসিডেন্ট পল কেগামের বিরুদ্ধে বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে সমালোচকদের।

প্রসঙ্গত, গত মাসের নির্বাচনে ৯৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে চতুর্থমেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাসীন রয়েছেন কেগামে।